ট্রেন লেট! যাত্রীরা পেলেন ক্ষতিপূরণ, অভিনব এবং নজিরবিহীন ঘটনা ভারতীয় রেলে
সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি তেজস এক্সপ্রেস। তার জন্য ক্ষতিপূরণ পেল রেল। নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল ভারতীয় রেলে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম এমনই এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি তেজস এক্সপ্রেস। তার জন্য ক্ষতিপূরণ পেল রেল। নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল ভারতীয় রেলে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম এমনই এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ট্রেন লেটে চলায় ৯৫১ জন রেলযাত্রীরা পেতে চলেছেন ক্ষতিপূরণ। বেসরকারি উদ্যোগে চালানো প্রথম ট্রেন তেজস শনিবার দেরিতে চলায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল।
দিল্লিগামী তেজস এক্সপ্রেস লখনউ থেকে ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৬টা ১০ মিনিট। ট্রেনের কামরাগুলি নিয়মমাফিক রক্ষণাবেক্ষণ যথাসময়ে শেষ হয়নি। ফলে ট্রেন ছাড়ে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ। ফলে ট্রেনটি নির্ধারিত সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের পরিবর্তে গন্তব্যে পৌঁছয় দুপুর ৩টে ৪০ মিনিটে।
আবার ফেরার সময় লখনউগামী তেজস এক্সপ্রেসটি ৩টে ৩৫ মিনিটের পরিবর্তে ছাড়ে ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ। ফলে একইদিনে দুদিকের যাত্রাতেই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি করে বেসরকারি ট্রেন তেজস। এরপরই আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে ঘোষমা করা হয়, যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আইআরসিটিসির চেয়ারম্যান অশ্বিনী শ্রীবাস্তব জানান, যাত্রীদের সকলের মোবাই ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই ক্ষতিপূরণ মিলবে। উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তেজসের পথ চলা। এই ট্রেনের নিয়মেই বলা আছে, গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে সংস্থা। তবে ট্রেন ছাড়তে দেরি হলেও যদি গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছয়, তখন ক্ষতিপূরণ মিলবে না।
দিল্লিগামী তেজসে যাত্রী ছিল ৪৫১ জন, আর লখনউগামী তেজসের যাত্রী ৫০০ জন। এই ৯৫১ জন যাত্রী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যাত্রী পিছু ২৫০ টাকা। ট্রেন যাত্রার বিলম্বের কারণে যাত্রীদের চা, মধ্যাহ্নভোজ ও রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়।