মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত, ভারতের শান্তির উদ্যোগ স্বাগত, জানাল ইরান
ভারত যদি আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চলা সংকট নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেয়, তাহলে তাকে স্বাগত জানাবে ইরান।
ভারত যদি আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চলা সংকট নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেয়, তাহলে তাকে স্বাগত জানাবে ইরান। দিল্লিতে এমনটাই জানিয়েছেন, সেদেশের রাষ্ট্রদূত। ইরানের সেনা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে আমেরিকা হত্যার পর থেকেই আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সংকট বেড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা শান্তি চান, যুদ্ধ চান না।
ভারতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি চেগেনি আশাপ্রকাশ করেছেন, তাঁর দেশ এবং আমেরিকার মধ্যে শত্রুতা আর বাড়বে না। ইরাকে থাকা আমেরিকা ও তাদের মিত্র বাহিনীর ঘাঁটিতে একের পর এক ব্যালেস্টিক মিসাইল হানার পরে ইরানের রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য সামনে এসেছে। তেহেরান জানিয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপ আমেরিকার মুখে থাপ্পড়ের মতো।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ভারত সাধারণভাবে সারা বিশ্বেই শান্তি বজায় রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে তারা যদি বিভিন্ন দেশকে নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে তারা তাকে স্বাগত জানাবে।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা যুদ্ধকে সমর্থন করেন না। তারা এলাকায় সব দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির পক্ষে তারা।
শুক্রবার বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ার সময় মেজর জেনারেল সোলেইমনির কনভয়ে ড্রোন থেকে মিসাইল হানা চালায় আমেরিকা। এই হামলায় সোলেইমানি ছাড়াও ইরাকের শক্তিশালী হাসেদ অল সাবি প্যারামিলিটারি ফোর্সে সহকারী প্রধানের মৃত্যু হয়।
ইরাকে আমেরিকার লক্ষ্য বস্তুর ওপর আঘাত হানার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, নিজেদের রক্ষার অধিকার থেকেই তারা হামলা চালিয়েছেন।
আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চলা সংকটের মধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর রবিবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফের এবং আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেওয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানান তিনি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে ভারত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছে।
ভারত তাদের ভাল বন্ধু, একথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তাদের মন্ত্রী ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে ভাল কথা হয়েছে। তাদের সম্পর্কের ভাল ভবিষ্যত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, সোলেইমানি হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিশ্বকে আইএসআইএস-এর থেকে মুক্ত করেছেন। কেন তাকে মারা হবে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দিল্লিতে ইরানের রাষ্ট্রদূতের অফিসে বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে সোলেইমানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরাকে আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলা প্রসঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, নিজেদের রক্ষার অধিকার থেকেই তারা এই হামলা চালিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা প্রতিশোধ নয়, এটা তাদের দেশের মানুষের অধিকার। ইরানের সমস্ত মানুষ প্রতিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেইজন্য তারার মিলিটারি বেসে আক্রমণ চালিয়েছেন।