হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে মার্কিন গণতন্ত্র! আমেরিকার মসনদে কে, সিদ্ধান্ত নেবে ইরান-রাশিয়া না চিন?
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা এবং জনমত সমীক্ষার রেটিং ক্রমশ পড়তে থাকায় এবছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তবে এই জনমত সমীক্ষা সত্যিকার অর্থে কতটা মার্কিন মনোভাব ফুটিয়ে তুলছে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা গিয়েছে।
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য
এর আগে টুইট করে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'সার্বিকভাবে মেল-ইন-ভোটিং হলে ২০২০-র নির্বাচন ইতিহাসের সবথেকে বেশি ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন হবে। এটা আমেরিকার পক্ষে বিরাট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যতদিন না মানুষ যথাযথ ও নিরাপদভাবে ভোট দিতে পারছে ততদিন ভোট পিছিয়ে দেওয়া যাক?' প্রসঙ্গত, করোনা প্রকোপের জেরে সার্বক ভাবে মেল-ইন-ভোটিং হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে আমেরিকায়। এবং সে ক্ষেত্রে চিনের তরফে কলকাঠি নাড়িয়ে ট্রাম্পকে হারানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের আশঙ্কাই সত্যি?
ট্রাম্পের এই ভয়কে কতকটা সত্যি প্রমাণিত করেই মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম এভনিনা মুখ খোলেন। শুক্রবার মার্কিন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে এবিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অনলাইনে গুজব ছড়াচ্ছে চিন-রাশিয়া
এবিষয়ে উইলিয়াম এভানিনা বলেন, রাশিয়া, চিন দুই দেশই অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে ও অন্যান্য উপায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটারদের প্রভাবিত, বিশৃঙ্খলা তৈরি ও মার্কিন ভোটারদের আস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এদিকে ইরানও কলকাঠি নড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান এভানিনা। ইরানের চেষ্টার বিষয়ে এভানিনা বলেন, গুজব ছড়ানোর মতো অনলাইন কৌশল ব্যবহার করে দেশটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ও ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ও ভোটারদের অসন্তুষ্টি বাড়াতে চাইছে।
এর আগেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল?
বিবৃতিতে মার্কিন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান উইলিয়াম এভানিনা বলেন, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল। এবারেও এই দেশ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এমন সতর্কতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ রাশিয়ার পাশাপাশি চিনের বিষয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চিন চায় না ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতুক। তাই মার্কিন নির্বাচনে প্রকাশ্যে এবং গোপনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে দেশগুলো।
ট্রাম্পকে চান না জিনপিং
তিনি জানান, তার সংস্থার পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে, চিন চায় না ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হোন। কারণ বেজিং তাঁকে অনেক বেশি অনির্ভরযোগ্য বলে মনে করে। এছাড়া এভানিনা সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া এরই মধ্যে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি জানান, রাশিয়াপন্থী ইউক্রেনের একজন রাজনৈতিক আন্দ্রেই ডারকাখের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের থেকে জানা যায় কীভাবে বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে অপদস্ত করতে দুর্নীতির অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
ঋণের টোপ দিয়ে দেশ কিনছে চিন! সারা বিশ্বে এভাবেই ছড়িয়ে বেজিংয়ের ৬৮টি কাঠপুতুল