এ রাজ্যে প্রথম ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে আইপিএস অফিসাররা
এ রাজ্যে প্রথম ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে আইপিএস অফিসাররা
এ যেন ঠিক মামার বাড়ির আবদারের মতো। একদিকে যখন ভ্যাকসিন প্রার্থীরা প্রথম কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে আসার জন্য একে–অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে, এর ঠিক অপরদিকে বিপরীত দৌড় প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও পুলিশের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে। যেটা হল কে প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন?
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের থেকে চাপ আসছে
জেলা এবং পুরনিগমের অধিকর্তারা জানিয়েছেন যে তাঁদের ওপর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পক্ষ থেকে চাপ আসছে, যাতে ভ্যাকসিন আসার পর তা প্রদান করার তালিকায় সামনের সারির ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামও যোগ করে দেওয়া হোক। যাতে তাঁরা ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে প্রথম অগ্রাধিকার পান। মহারাষ্ট্র সরকার জেলা ও পুরনিগমের অধিকর্তাদের সেপ্টেম্বরেই নির্দেশ দিয়েছিল যে গোটা রাজ্য জুড়ে সামনের সারির যোদ্ধাদের নাম ও তাঁরা কোন পদে রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করতে। যাতে তাঁরা প্রথম ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
রাজনীতিবদরা সামনের সারির যোদ্ধা নন
গ্রেটার মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘নিয়মানুসারে, সামনের সারির ব্যক্তিদের অন্তর্গত রাজনীতিবিদরা পড়ছেন না। কিন্তু তাঁরা এটা নিয়ে তর্ক করছেন যে যেহেতু তাঁরা প্রত্যেক দিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা-সভা করছেন, তাঁরাও উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এবং তাঁদেরকেও সামনের সারির কর্মী হিসাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এমনকী তাঁরা তাঁদের পরিবারকেও এই তালিকার আওতায় আনতে নাছোড়বান্দা।'
ট্রায়ালে যোগ দিতে ইচ্ছুক আইপিএস অফিসার
শীর্ষ অধিকর্তারা জানিয়েছেন যে পুনে ও নাগপুর থেকেও একই ধরনের দাবি আসছে। পুনের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘এখন শুধু নয়, সিরাম-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সময় থেকেই আমরা এ সংক্রান্ত প্রচুর ফোন পেয়েছি। বহু শীর্ষ আইপিএস অফিসার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যোগ দিতে চাইছিলেন, যাতে সকলের আগে তাঁরা ভ্যাকসিন নিতে পারেন।'
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৮ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র ও মুম্বই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই নিম্নগামী। সোমবার রাজ্যে দৈনিক নতুন করোনা কেসের সংখ্যা ছিল ৩,৮৩৭।
আম্বানি পরিবারের সম্পত্তি এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী পরিবারেরও দ্বিগুণ! তাক লাগানো পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে