পরীক্ষার হলে প্রতারণার অভিযোগ, চেন্নাই থেকে গ্রেফতার আইপিএস অফিসার
পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক আইপিএস অফিসারকে। তার টার্গেট ছিল আইএএস হওয়া। সেই জন্য পরীক্ষার হলে বসে ব্লুটুথের সাহায্যে উত্তর লিখছিলেন করিম।
পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক আইপিএস অফিসারকে। তার টার্গেট ছিল আইএএস হওয়া। সেই জন্য পরীক্ষার হলে বসে ব্লুটুথের সাহায্যে উত্তর লিখছিলেন করিম।
আইপিএস অফিসার সাফির করিম। প্রবেশনে কাজ করছিলেন। এবারও সুযোগ পেয়েছিলেন সিভিল সার্ভিস মেন পরীক্ষায় বসার। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। পরীক্ষা চলাকালীন সোমবার চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে প্রতারণার অভিযোগ ধরা পড়ে যান। অভিযোগ, ব্লুটুথের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছ থেকে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর চলে যাচ্ছিল তার কাছে।
কেরলের বাসিন্দা করিমের টার্গেট ছিল আইএএস হওয়ার।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ধৃত আইপিএসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। করিমের স্ত্রী হায়দরাবাদে থাকায়, তাকে গ্রেফতার করতে সেখানকার প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। চেন্নাই থেকে পুলিশের একটি দল শীঘ্রই হায়দরাবাদ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক।
২০১৪
ব্যাচের
আইপিএস
অফিসার
প্রবেশনে
ছিলেন।
নানগুনেরি
মহকুমার
এএসপি
হিসেবে
কাজ
করছিলেন
করিম।
যার
সদর
দফতর
তিরুনেলভেলিতে।
এর
আগে
সিভিল
সার্ভিস
পরীক্ষার্থীদের
জন্য
কোচিং
সেন্টারও
খুলেছিলেন
করিম।
যার
সেন্টার
ছিল
তিরুবনন্তপুরম,
কোচি,
কালিকট,
ভোপাল
এবং
হায়দরাবাদ।
কোচিং
সেন্টারের
বিজ্ঞাপনে
দেওয়া
ছিল
করিম
একজন
আইপিএস
টপার(
২০১৪
সালে
তার
স্থান
ছিল
১১২
নম্বরে)।
দক্ষিণ ভারতীয় পত্রিকায় ২০১৫-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করিম বলেছিলেন, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ভিডিও গেমের মতো। বর্তমানে বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সুরেশ গোপী তাকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে অনুপ্রাণিত করেন বলে জানিয়েছিলেন করিম। দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে গোপী পুলিশ অফিসার হিসেবে অভিনয় করে থাকেন।
করিমের দেওয়া আইএএস কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে দেওয়া হয়েছিল, সব শিক্ষককেই পাবেন এক ছাদের তলায়।
তামিলনাডু পুলিশ সূত্রে খবর, করিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে।