এবার ত্রিপুরায় এনআরসি চালুর দাবি! আন্দোলনের হুমকি বিজেপির জোট সঙ্গীর
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলে দিল তাঁদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি।
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলে দিল তাঁদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি (ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা)। তাদের দাবি অসমের ধাঁচে ত্রিপুরায় এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বলবৎ করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বিপ্লব দেবের সরকারের জোটসঙ্গী এই দল।
বহুদিনের দাবি
মূলত তপশিলিদের দল অবশ্য এখন নয়, বহুদিন ধরেই, মানিক সরকারের আমল থেকেই ত্রিপুরার নাগরিকপঞ্জী চালুর দাবিতে সরব হয়েছে। তাদের সমর্থন দিয়েছে স্থানীয় অন্য উপজাতি অধ্যুসিত দালগুলিও। এখন তাঁদের দাবি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে কাট-অব-ডেট ধরে ত্রিপুরায় এনআরসি বলবৎ করতে হবে।
১৯৭১ সাল থেকে চালুর দাবি
আইপিএফটি-র মুখপাত্র মঙ্গল দেববর্মা জানান, অন্য দলগুলি ১৯৪৯ ও ১৯৫১ সালকে কাট অব ডেট ধরতে বলছে। আমরা তা বলছি না। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ধরতে বলছি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরায়ও বহু অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। ফলে এখানকার নাগরিকদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে এনআরসি চালু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে আইপিএফটি।
দাবি একাধিক
আইপিএফটির দাবি রয়েছে একাধিক। এরআরসি চালু করতে হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হবে। দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এছাড়া ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তও বন্ধ করে দিতে হবে।
অধিকারের দাবি
আইপিএফটি-র মুখপাত্র মঙ্গল দেববর্মার দাবি, ২০১১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী ত্রিপুরার ৩৭ লক্ষ জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ তপশিলি জাতি-উপজাতির মানুষ বলে জানানো হলেও আদতে সেই সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ফলে স্থানীয়দের অধিকারকে রক্ষা করতে এনআরসি চালু করতেই হবে।
বিপ্লবের ব্যাখ্যা
কিছুদিন আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব স্পষ্ট জানান, অসমে সফলভাবে এনআরসি চালু হলেও ত্রিপুরায় এমন কোনও দাবি নেই। ত্রিপুরায় সকলের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তবে এখন আইপিএফটির দাবির পরে তিনি কী করেন সেটাই এখন দেখার।