জয়ের পরই ত্রিপুরায় রাজ্যভাগের প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলল শরিক দল, ফাঁপড়ে বিজেপি
জেতার পরেরদিনই আলাদা রাজ্যের দাবি খুঁচিয়ে তুলল বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি। যা শুরুতেই বিজেপিকে হোঁচট খাওয়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
ত্রিপুরায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে বিজেপি ও ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি)-র জোট। জেতার পরেরদিনই আলাদা রাজ্যের দাবি খুঁচিয়ে তুলল বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি। যা শুরুতেই বিজেপিকে হোঁচট খাওয়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পরে দেখা গিয়েছে বিজেপি ৬০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি পেয়েছে ও আইপিএফটি পেয়েছে ৮টি আসন। এদিকে সিপিএম পেয়েছে ১৬টি আসন।
জয়ের পরই আইপিএফটির সভাপতি এনসি দেববর্মা সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নির্বাচন একটি আলাদা ইস্যু। আর আমাদের দাবি বহুবছরের। ত্রিপুরার উপজাতি মানুষদের জন্য আলাদা রাজ্য করতে হবে। আমরা আশাবাদী যে কেন্দ্র উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করে আমাদের দাবির মর্যাদা রাখবে।
দেববর্মা বলেছেন, তিনি চেয়েছিলেন উপজাতি মানুষদের অসুবিধাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। যে দল সরকারে থাকুক না কেন তাঁদের দাবির বদল হবে না বলেও জানিয়েছেনআইপিএফটির সভাপতি।
আইপিএফটি-র হয়ে লড়ে দেববর্মা নিজে সিপিএমের রমেন্দ্র দেববর্মাকে টকরজাল বিধানসভা আসনে হারিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সাল থেকে ত্রিপুরায় রাজ্যভাগের দাবি করে আসছে আইপিএফটি। অনেকদিনের দাবি হলেও ২০১৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা ভাগ হওয়ার পরই ত্রিপুরা ভেঙে দুভাগ করার আন্দোলন জোরদার হয়েছে।
ভারতের অন্য রাজ্যের মতোই ত্রিপুরায় রাজ্যভাগের দাবি কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও বহুবার ত্রিপুরা ভাঙার দাবি উঠেছে। হিংসাত্মক আন্দোলনও হয়েছে। মূলত ত্রিপুরার বিভিন্ন উপজাতি সংগঠনের নেতারা পৃথক রাজ্যের দাবিতে নানা সময়ে সোচ্চার হয়েছেন। সঙ্গে নানা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও এই আন্দোলনে উসকানি দিয়েছে। তবে নিরাপত্তাবাহিনী ও ত্রিপুরা সরকার কঠিন হাতে বারবার সেই আন্দোলনকে থামিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার আইপিএফটিকে সঙ্গে নিয়ে সরকারে আসা বিজেপি কোনও স্টান্স নেয়।