যে কারণে সিবিআই-এর হাতকড়া চিদাম্বরমের, সেই আইএনএক্স মিডিয়া মামলা একনজরে
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বড় ধাক্কা খান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে রাজি হয়নি।
মঙ্গলবার
দিল্লি
হাইকোর্ট
অন্তর্বর্তী
জামিনের
আবেদন
খারিজ
করে
দেওয়ায়
বড়
ধাক্কা
খান
প্রাক্তন
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
পি
চিদাম্বরম।
পাশাপাশি
সুপ্রিম
কোর্টেও
তাঁর
আবেদনে
জরুরি
ভিত্তিতে
শুনানি
করতে
রাজি
হয়নি।
এর
ঘন্টাখানেকের
মধ্যেই
সিবিআই
এবং
ইডি
আধিকারিকরা
তাঁর
দিল্লির
জোরবাগের
বাড়িতে
হানা
দেন।
যদিও
সেই
সময়
তাঁকে
পাওয়া
যায়নি।
প্রায়
২৭
ঘন্টা
পর
তিনি
সকলের
সামনে
আসেন
কংগ্রেস
দফতরে।
আরও
ঘন্টা
তিনেক
পর
সেই
জোরবাগের
বাড়ি
থেকেই
তাঁকে
গ্রেফতার
করা
হয়।
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বর্যীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরম জড়িত বলে অভিযোগ ওঠার পর থেকে তদন্ত শুরু করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। ২০১৭-র ১৫ মে আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপে বিনিয়োগ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে। চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ে ২০০৭ সালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশ থেকে পেয়েছিল আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপ।
এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দুটি মামলায় চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তির নাম উল্লেখ করা হয়। এর আগে ২০১৮-র ২৮ ফেব্রুয়ারি সিবিআই কার্তিকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ইডি তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।
ইডি পাশাপাশি কোম্পানির দুই প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখার্জি এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জির বিরুদ্ধেও প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয় আরও বেশ কয়েকজনকে।
৪ জুলাই দিল্লি আদালত আইএনএক্স মিডিয়ার প্রাক্তন প্রধান ইন্দ্রাণী মুখার্জিকে সিবিআই-এর সাক্ষী হিসেবে অনুমোদন দেয়।