ধর্ষক বাবা চাইলেই যেতে পারতেন সাধ্বীদের হস্টেলে, হানিপ্রীত ছিলেন রাম রহিমের উপপত্নী, দাবি অনুগামীদের
বাবা রাম রহিম চাইলেই যেতে পারতেন সাধ্বীদের হস্টেলে। সিরসার ক্যাম্পাসে নিজের থাকার জায়গা থেকে সাধ্বীদের হস্টেল পর্য়ন্ত একটি গোপন পথের খোঁজ মেলার পর এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বাবা রাম রহিম চাইলেই যেতে পারতেন সাধ্বীদের হস্টেলে। সিরসার ক্যাম্পাসে নিজের থাকার জায়গা থেকে সাধ্বীদের হস্টেল পর্য়ন্ত একটি গোপন পথের খোঁজ মেলার পর এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
রাম রহিমের কর্মকাণ্ড থেকে চোরা পথ থাকতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু দুদুটি চোরা পথে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। শনিবার ডিগিং যন্ত্র দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ওই ক্যাম্পাসে।
হরিয়ানার ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ডেপুটি ডিরেক্টর জানিয়েছেন, দুটি গোপন রাস্তার একটি অনেকটা লম্বাটে জানালার আকারের। ক্যাম্পাসে গুরমিত রাম রহিম যে গুফায় থাকতেন, সেখান থেকেই একটি পথের উৎপত্তি। সেই পথ গিয়েছে সাধ্বীদের হস্টেলে। অপরটি কাঁচা পথ। ক্যাম্পাস থেকে এই পথ পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে শেষ হয়েছে। অনাথ মেয়েদের ওয়ার্ডেনের ঘরেও গোপন রাস্তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একেবারে সিনেমার কায়দায় আলমারির পিছনে লুকনো ছিল এই রাস্তা।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ, আধাসেনা ও নাগরিক পরিষেবার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সিরসায় শুক্রবার থেকে যে অভিযান শুরু করেছিলেন, তা এখনও জারি রয়েছে। পুরো তল্লাশির কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। পুরো তল্লাশির কাজ ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হচ্ছে।
সিরসায় ধর্ষক রাম রহিমের ক্যাম্পাসে বাজি কারখানার হদিশও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে একে ৪৭-এর ফাঁকা বাক্সও পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে হানিপ্রীতের পরিচয় নিয়ে সামনে আসছে আরও তথ্য। সর্বদা ধর্ষক রাম রহিমের সঙ্গে থাকা হানিপ্রীত আসলে তাঁর উপপত্নী। ধর্ষক রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর মহিলা অনুগামীরা। এই মহিলা অনুগামী ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গুরমিত রাম রহিম তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁদের সঙ্গে সুইপারের মতো আচরণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা অনুগামী।