ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করলে কি মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হয়!
২০১৭ সালে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২০বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' গোষ্ঠীর বক্তব্য, এভাবে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বারবার যেভাবে ভারতের নানা জায়গায় ব্যাহত করা হচ্ছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' নামে মানবাধিকার সংগঠন।
২০১৭ সালে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২০বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের বক্তব্য, অশান্ত এলাকায় গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। যদিও 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' গোষ্ঠীর বক্তব্য, এভাবে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
যেমন কাশ্মীরে প্রশাসনের তরফে মাঝেমাঝেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উপত্যকা অশান্ত হয়ে উঠেছে এই আঁচ পেলেই সবার আগে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় কোপ বসানো হয়। এই যেমন গত মাসে মহারাষ্ট্রে কৃষকদের বিক্ষোভে পরিস্থিতি সামান্য উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার কথা বলে প্রশাসন। তবে অশান্তি রুখতে এটাই একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে না।
প্রশাসনের স্বচ্ছ্বতার অভাব ও জনগনকে বুঝিয়ে শান্ত করার প্রচেষ্টার অভাব এবং সরকারের সমালোচনা সহ্য করতে না পারার ক্ষমতাই এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য করে বলে মনে করছেন মীনাক্ষীদেবী। একইসঙ্গে সরকারের প্রতি তাঁর অনুরোধ এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করবেন না। এর বদলে স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে হিংসা বন্ধের চেষ্টা করলে বরং তা অনেক ফলপ্রসূ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।