প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে বন্ধ ইন্টারনেট! কৃষক আন্দোলনে স্তব্ধ গোটা রাজধানী
দিল্লিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে, ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, জিটিকে রোড, আউটার রিং রোড, সিগনেচার ব্রিড, জিটি রোড, আইএসবিটি রিং রোড, বিকাশ মার্গ, আইটিও, ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, নিজামউদ্দিন খাট্টা, নয়ডা লিঙ্ক রোড, পীরগারহি, আউটার দিল্লি এবং দিল্লির পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত এড়িয়ে চলার জন্য রাজধানীবাসীকে অনুরোধ করছেন দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ।

ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশকর্মীদের উপর আক্রমণ
'সকাল থেকে আমরা কৃষকেদের কাছে অনুরোধ করে যাচ্ছিলাম যাতে তাঁরা পূর্ব নির্ধারিত রুট দিয়েই ব়্যালি করেন। কিন্তু কেউ কেউ ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশকর্মীদের উপর আক্রমণ করে। কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করছি যাতে শান্তি পরিস্থিতি বজায় রাখা হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসে এটা কোনও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছিল না।' বললেন দিল্লির নাঙ্গলইয়ের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শালিনী সিং।

কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ
নাঙ্গলই এলাকায় আন্দোলনরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ। ব্যবহার করা কাঁদানে গ্যাসের শেলও। গ্রিন লাইনের পর এবার গ্রে লাইনের সমস্ত মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ ও বাহির পথ বন্ধ করল দিল্লি মেট্রো। এদিকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ইন্টাবরনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্ঘু, গাজিয়াবাদ, টিকরি , মুকারবা চক, নাঙ্গলই এবং সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা।

কৃষকরা নির্ধারিত পথে না যাওয়াতেই বিপত্তি
উল্লেখ্য, সিঙ্ঘু থেকে কৃষকদের মিছিল এগোনোর কথা ছিল কানঝাওয়ালা, বাওনা , অউচণ্ডী বর্ডার, কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ের দিকে৷ শেষ হওয়ার কথা ছিল পুনরায় সিঙ্ঘুতেই৷ টিক্কি সীমানা থেকে মিছিলটি এগোনোর কথা ছিল নানগ্লোই , নাজাফরগড় এবং ওয়েস্টার্ন পেরিফ্রাল এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে৷ অন্যদিকে গাজিপুর সীমানা থেকে মিছিলটি এগোনোর কথা ছিল ৫৬ ফুট পথ ধরে এবং শেষ হবে কুন্ডি, গাজিয়াবাজ পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে৷ তবে এই রুট মানেনি কৃষকরা। যার জেরে বাঁধে সংঘাত।
