সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করছে ইন্টারনেট, নতুন নিয়মাবলী তিন মাসে; সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা পেশ কেন্দ্রের
বর্তমান যুগে যোগাযোগের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হল ইন্টারনেট। তবে এই মাধ্যমের ব্যবহারেই না কি ছড়াচ্ছে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ।
বর্তমান যুগে যোগাযোগের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হল ইন্টারনেট। তবে এই মাধ্যমের ব্যবহারেই না কি ছড়াচ্ছে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ। এই কথা সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম বলবৎ করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ বিরোধী কাজ, ভুয়ো খবর, মানহানিকর পোস্ট, রোখার উদ্দেশে এই নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও তিন মাস সময় চাইল কেন্দ্রী। সোমবার সুপ্রিমকোর্টে এই মর্মে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই বহু বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, যার থেকে পরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। সেই বার্তার সূত্রপাত কে করল বা তার উৎপত্তি কোথা থেকে, তা জানা এখনও বেশ কঠিন। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নির্দিষ্ট শর্তাবলী তৈরি করতে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অবলম্বন করা এবং অবৈধ কাজকর্ম রুখতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও তিন মাস সময় চাইল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক
সুপ্রিম কোর্টে সোমবার তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের আইনজীবী রজত নাইয়ারের তরফে হলফনামা জমা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের পোস্টের সংখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার স্বার্থে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
আইন সংশেধনের প্রক্রিয়া চলছে
হলফনামায় বলা হয়, বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে ২০১১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত আইনের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয় মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। যা পড়ে বহু মানুষ কয়েকটি বদল চেয়ে মন্তব্য করেছেন। চূড়ান্ত আইনে সে বিষয়গুলিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা জমে রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে। এই মামলাগুলির রায়ের প্রভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করবে বলে সেগুলি শীর্ষ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করার জন্য পরে আবেদন জানায় দুই জনপ্রিয়তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। শীর্ষ আদালতে সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। সেখানেই কেন্দ্রের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রবিরোধী কাজ রুখতে আইন তৈরির জন্য সময় চাওয়া হয়।
খুন আর হত্যায় শীর্ষে দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, রিপোর্ট এনসিআরবি-র