বাড়ছে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ! মাঝরাতেই নাড্ডার বাড়িতে জরুরী বৈঠকে অমিত শাহ-কৃষিমন্ত্রী
ইতিমধ্যেই কৃষি বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের রাজ্য-রাজনীতি।আজ পাঁচ দিনে পড়ল দিল্লির কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। এদিকে একটানা আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে রাজধানীর একটা বড় অংশে।এমতাবস্থায় একপ্রস্থ দেখা করার পর ফের একবার স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে গিয়ে হাজির হলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

জে পি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে মাঝরাতেই বসে জরুরী বৈঠক
এদিকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঢোকা বেরোনোর পাঁচটি জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দবে বলে হুমকী দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। আর তারজেরেই চাপের মুখে পড়ে মধ্যরাতেই বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে মাঝরাতেই বসে এই জরুরী আলোচনা সভা।

কাজে আসেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কৌশলও
এদিকে দিল্লি অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়ে গত কয়েক দিনে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক জড়ো হয়েছেন দিল্লি- হরিয়ানা সীমান্তে৷ এমনকী ইতিমধ্যেই স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী শর্তসাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা। বিক্ষোভকারীদের যত্রতত্র জমায়েতের বদলে একটি সীমারেখার মধ্যে বাঁধার পরিকল্পনা করেছিলেন অমিত শাহ। দিল্লির উপকণ্ঠে শুধুমাত্র বুরারি অঞ্চলে জমায়েত করলেই তাদের সাথে আলোচনায় বসবে সরকার। কিন্তু বদলে মিলল পাল্টা হুশিয়ারি।

কোন পাঁচটি এলাকায় জাতীয় সড়ক বন্ধের হুঙ্কার দিচ্ছেন কৃষকরা ?
ইতিমধ্যেই সোনেপত, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরার মতো পাঁচটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন কৃষকেরা। নয়া কৃষি বিল বাতিল সহ নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিতকরণের দাবি মানা না হলে এই জায়গাগুলিতেই জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন কৃষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এরআগে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ কৃষকদের সঙ্গে মিটিংয়ের কথা জানায় সরকার। বর্তমানে কৃষকদের দাবি, মিটিংয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু তাতে শর্ত চাপালেই আন্দেলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।

পুলিশের হাজারও পদক্ষেপের পরেও এক ফোঁটাও কমেনি কৃষি বিক্ষোভের ঝাঁঝ
গত তিন দিন ধরে দিল্লি সীমান্তের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক৷ মূলত পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে জড়ো হয়েছেন এই কৃষকরা৷ এদিকে কৃষকদের আটকাতে জল কামান , টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেও কার্যত ব্যর্থ হয় হরিয়ানা পুলিশ। বিক্ষোভরত কৃষকদের ছ্ত্রভঙ্গ করা তো দূর তাদের সামান্য নড়াতেই পারেনি প্রশাসন। অন্যদিকে কৃষকদের বিক্ষোভের পিছনে খলিস্তানি মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার৷ তাতে আরও জনরোষ বাড়ে কৃষকদের মধ্যে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী কৃষি আইনের পক্ষে কথা বললেও দেশব্যাপী আন্দোলনের তীব্রতায় জল এখন কতটা গড়ায় সেটাই দেখার।

অভিষেককে ৩ দিনের ডেডলাইন দিয়ে দিলেন দিলীপ! কাউন্টডাউনের টিকটক শুরু আইনি নোটিস নিয়ে