'ব্যাথা কমানোর শ্রেষ্ঠ ওষুধ কাজ', অনুপ্রেরণার আরেক নাম নবীন পট্টনায়েক
বয়স যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে তাঁর মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্দীপনা। ৭৪ বছর পূর্ণ করে এদিনই ৭৫-এ পা দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। করোনা সংক্রমণের আবহে বর্তমানে যে গুরুগম্ভীর পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে দেশ এবং তাঁর রাজ্য, সেই কথা মাথায় রেখেই এবছর জন্মদিন পালন করা হবে না বলে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এবং নবীন পট্টনায়েক নিজেও জন্মদিন পালনের থেকে মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে মন দিতে চান। এবং তাঁর এই স্বভাবেরই একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন তাঁর সহায়ক তথা আইএএস আধিকারিক ভিকে পান্ডিয়ান।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুড়ি বছর পূর্ণ করেছেন নবীন পট্টনায়েক
চলতি বছরের মার্চ মাসে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুড়ি বছর পূর্ণ করেছেন নবীন পট্টনায়েক। এবং এই দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়িত্বের কারণ তাঁর কাজ করে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। ভিকে পান্ডিয়ান এই বিষয়ে নিজে জানাচ্ছেন যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে একবার বলেছিলেন যে ব্যাথা কমানোর শ্রেষ্ঠ ওষুধ হল কাজ।

নবীন পট্টনায়েকের দাঁতে খুবই ব্যথা সেদিন...
ঘটনা দুই বছর আগের একদিনের। মুখ্যমন্ত্রীর দাঁতে খুবই ব্যথা। তিনি সকালে ৯টার সময় হাসপাতালে যাবেন বলে ফোন আসে সহায়ক পান্ডিয়ানের কাছে। জানানো হয় রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্টের জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পান্ডিয়ানের মাথায় তখন মুখ্যমন্ত্রীর সব মিটিং বাতিল বা পিছিয়ে দেওয়ার প্ল্যান আঁকা হচ্ছে। নবীন পট্টনায়েকের দিনলিপি ঠাসা। সকাল সাড়ে ১১টাতেই তাঁর একটি রিভিইউ মিটিং রয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেওয়া নবীন পট্টনায়েকের জন্য সম্ভব হবে না মনে করে তাও পিছিয়ে দিলেন পান্ডিয়ান।

হাসপাতাল থেকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ে যান নবীন
তখনই পান্ডিয়ানের ফোনে মেসেজ আসে যে মুখ্যমন্ত্রীর রুট ক্যানাল সম্পন্ন হয়েছে, এবং তিনি মন্ত্রণালয়ের দিকে রওনা হয়েছেন। পান্ডিয়ান এই মেসেজ পেয়ে অবাক। তাঁর নিজের কলেজ লাইফের কথা মনে পড়ল, যখন তিনি রুট ক্যানালের পর দুই দিন ক্লাস বাঙ্ক করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েক যেভাবে হাসপাতাল থেকে সরাসরি বৈঠকের জন্য আসছেন, তা দেখে হতভম্ব হয়ে যান আইএএস আধিকারিক নিজেই।

কাজই হল ব্যাথা কমানোর শ্রেষ্ঠ ওষুধ
বৈঠক যথারিতি হয়। এবং বৈঠকের পর পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েককে জবলেন, 'স্যার আজকের দিনটা রেস্ট নিলে পারতেন।' জবাবে নবীন পট্টনায়েক বলেছিলেন, 'আমি এই ব্যথা সহ্য করতে পারছি, তাহলে কেন বেকার সময় নষ্ট করব। আমার থেকে বেশি ব্যথায় আছে লোকজন। তাদের সাহায্য করা আমাদের কাজ।' এরপর একটু থেমে তিনি বলেন, 'আর সত্যি কথা বলতে কাজই হল ব্যাথা কমানোর শ্রেষ্ঠ ওষুধ।'

সিবিআইয়ের জেরার মুখে হাথরাসের অভিযুক্তদের পরিবার, কোন চিন্তায় কপালে ঘাম যোগীর?