ডেরায় মৃতের সংখ্যা ঘিরে রহস্য, চলত অবৈধ গর্ভপাত, চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল তল্লাশিতে
ধর্ষক ধর্মগুরু রাম রহিমের সিরসা আশ্রমের ভিতরের হাসপাতাল থেকে ঠিক কতগুল মৃতদেহ পাচার হয়েছে , তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি তদন্তকারী গোয়েন্দাদের
ধর্ষক ধর্মগুরু রাম রহিমের সিরসা আশ্রমের ভিতরের হাসপাতাল থেকে ঠিক কতগুল মৃতদেহ পাচার হয়েছে , তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি তদন্তকারী গোয়েন্দাদের। শুধু তাই নয়, এই হাসপাতালে বেআইনি স্কিন ব্যাঙ্ক চালানে হত বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার থেকে ডেরার সিরসা আশ্রমের ভিতরে ঢুকে একের পর এক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এমনই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসছে বলে খবর।
একাধিক সুড়ঙ্গের সন্ধার
সিরসা আশ্রমের গোটা চত্বরে বহু গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী দল। তার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গ রাম রহিমের ঘর থেকে ছাত্রীদের হস্টেল পর্যন্ত রাস্তা। যা ডেরায় রামরহিমের বেডরুমের ভিতর থেকে সংযুক্ত ছিল।
মৃতদেহের হিসাব ও স্কিন ব্যাঙ্ক
ডেরার ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময়ে ডেরার হাসপাতাল থেকে কতগুলি মৃতদেহ বাইরে গিয়েছে তার কোনও নথিবদ্ধ হিসাব পাননি গোয়েন্দারা। ফলে হাসপাতাল থেকে পাচার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশ তৈরি হয়েছে। পাশপাশি একটি লাইসেন্স বিহীনভাবে স্কিন ব্যাঙ্ক বা চামড়া মজুতের জায়গা ছিলবলেও খবর।
গর্ভপাত কেন্দ্র
ডেরার ভিতরে একিট অবৈধবাবে চলা গর্ভপাত কেন্দ্রেরও হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেখানে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট না মেনেই গর্ভপাত করনো হত বলে জানা গিয়েছে।
বাকি যা উদ্ধার হয়েছে
এছাডা়ও একে ৪৭ কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ডেরার সদর দফতর থেকে। ডেরার ভিতরে অবৈধ বাজি নির্মাণের কারখানাও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ডেরার চেরাই খানায় কাঠ কাটার ধারালো যন্ত্র সহ উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু লাঠিও।