'শিনা বোরা হত্যাকে তিন বছর ধরে গোপন রেখেছিল সমাজের প্রভাবশালীরা'
শিনা বোরা খুনের ঘটনায় একসময়ে যার হাতে চার্জ ছিল সেই মুম্বই পুলিশের তদানীন্তন পুলিশ সুপার রাকেশ মারিয়া ফের একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
মুম্বই, ৩১ জানুয়ারি : শিনা বোরা খুনের ঘটনায় একসময়ে যার হাতে চার্জ ছিল সেই মুম্বই পুলিশের তদানীন্তন পুলিশ সুপার রাকেশ মারিয়া ফের একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। জানালেন, শিনা বোরাকে খুন করার পর তিন বছর ধরে ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম শরিক ছিল গ্রেফতার হওয়া ইন্দ্রাণী মুখার্জী ও পিটার মুখার্জী। মুম্বইয়ের পুলিশ সুপারের পদ থেকে রাকেশকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তদন্তের মাঝেই। সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। মামলার তদন্তভার পরে সিবিআইয়ের হাতে যায়।
এই মুহূর্তে মুম্বই পুলিশের হোম গার্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যান্ড কম্যান্ড্যান্ট ছিলেন মারিয়া। এদিন মঙ্গলবার তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে শিনা বোরার খুনের ঘটনাকে চেপে রাখা হয়েছিল। এতে হাত ছিল সমাজের প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের।
তবে ইন্দ্রাণী মুখার্জী ও পিটার মুখার্জীর নাম ছাড়া আর কে কে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও মারিয়া জানিয়েছেন, আর কারও কথা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে যে পুলিশ আধিকারিকেরা এই মামলার সূত্র সন্ধান করে প্রথমবার খুনের তত্ত্ব সামনে আনেন তাদের কোনও সম্মান সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন রাকেশ মারিয়া।
আইপিএস রাকেশ মারিয়া মুম্বই পুলিশের সবচেয়ে দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের অন্যতম বলে পরিচিত। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলা হোক অথবা ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলা, সব ঘটনাতেই তদন্ত সামলেছেন রাকেশ মারিয়া।
তবে মুম্বই পুলিশ কমিশনার হিসাবে সময় শেষ হওয়ার আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রাকেশ মারিয়াকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তদন্ত ভালো করে করতে গিয়ে আমি শিনা বোরা মামলায় বেশি করে জড়িয়ে পড়েছিলাম। সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দেওয়ার পরও আমাদের দেখানো পথেই তদন্ত চলেছে।
১৯৮১ ব্যাচের অফিসার রাকেশ মারিয়া মুম্বই পুলিশে ৩৬ বছর কাজ করেছেন। অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড, ক্রাইম ব্রাঞ্চ সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। একসময়ে যখন কেউ নাম শোনেনি সেইসময়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের নাম তদন্তে তুলে আনেন রাকেশ মারিয়া ও তাঁর সহযোগী আধিকারিকেরাই।