মুদ্রাস্ফীতি ও ধীর গতির প্রবৃদ্ধির হারে চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। এরপর আরও আশঙ্কার বার্তা দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে জানানো হয় যে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৮ শতাংশ অতিক্রম করে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। একেই অর্থনীতির ধীর গতিতে বৃদ্ধি নিয়ে জেরবার দেশের সাধারণ মানুষ। প্রবৃদ্ধির হারের হ্রাস মানুষের ক্রয় ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলেছে। তার মধ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির জেরে মানুষের জীবন যাত্রা আরও প্রভাব ফেলবে।

মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে
ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৩৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২০ সালে মুদ্রাস্ফীতি বেশি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৬ শতাংশে নিচে মুদ্রাস্ফীতি নামবে না। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এই অবস্থাতেই থাকবে মুদ্রাস্ফীতি। পরিস্থিতি এমন দিকে এগোবে যে মুদ্রানীতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে আরবিআইকে। আগেই আরবিআইয়ের উর্ধ্বসীমা অতিক্রম করেছে মুদ্রাস্ফীতি। সামনেই আবার বাজেট অধিবেশন। নতুন করে মুদ্রানীতি নিয়ে ভাবতে হতে পারে আরবিআইকে।

জিডিপির বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ থাকবে
বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয় যে ২০১৯ -২০২০ সালের আর্থিক বছরে জিডিপির বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ থাকবে। ২০১৮-২০১৯ সালে এই জিডিপির বৃদ্ধি হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে একবছরে মোট ৫ শতাংশ সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ব ব্যাঙ্ক। তবে লাভ হয়নি।

পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারও ভাবাচ্ছে সরকারকে
খুচরো মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সরকারকে ভাবাচ্ছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারও। ডিসেম্বরের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ২.৫৯ শতাংশ। নভেম্বরে যা ছিল ০.৫৮ শতাংশ। মাত্রাতিরিক্ত খাবারের দামই বলে দিচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির কী হাল। আর পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়া মানে তার প্রভআব পড়বে খুচরো বাজারেও আর শেষ পর্যন্ত সেই চাপ গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের পকেটে।

তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে
অন্যদিকে তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের সঙ্গে আমেরিকার বিবাদের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে ভারতের বাজারেও। খুচরো এবং পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, দেশের প্রবৃদ্ধি হারের শোচনীয় অবস্থা, সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়ছে।