চৈনিক আস্ফালনের সামনে চোখে চোখ রেখে লড়ছে ভারত! কূটনৈতিক 'গ্রাউন্ড জিরো' কী বলছে
চৈনিক আস্ফালনের সামনে চোখে চোখ রেখে লড়ছে ভারত! কূটনৈতিক 'গ্রাউন্ড জিরো' কী বলছে
স্বাধীনতার ৩ মাসের পর থেকেই পাকিস্তানের কুজনর ভারতে এসে পড়ে। বারবার ভারতীয় অংশকে নিজের দখলে রাখবার চেষ্টা করে তারা। আর তার জেরেই কাশ্মীর চিরকালই ভারত-পাক দ্বন্দ্বের একটি বড় দিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপরবর্তীকালে চিনের সীমানা বাড়ানোর নেশা শুরু হয়ে যায় সেই ভারতীয় ভূখণ্ডকে আত্মসাতের আগ্রহ ঘিরে। বর্তমানে চিন-ভারত দ্বন্দ্বের পরিস্থিতিতে 'কূটনৈতিক গ্রাউন্ড জিরো'র পরিস্থিতি কী , তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
১৯৫০ সালের পরিস্থিতি
১৯৫০ সালে চিন একটি রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। সেই সময় চিন স্পষ্ট আঁচ করতে পেরেছিল যে কিছুতেই সীমান্তের এপারে এসে ভারতের সেনা তিনকে বাঁধা দেবে না। যদিও জওহরলাল নেহরু সরকার এর বিরোধিতা করলেও, চিন বারংবার আকসাই চিন এলাকায় নিডের আস্ফালন বাড়িয়ে গিয়েছে।
আকসাই চিন বিতর্ক
চিন যে নিজের মানচিত্র বারবার নিজের মতো করে আঁকিবুঁকি কেটে গিয়েছে তার প্রমাণ আকসাই চিন। ১৯৩০ সালের আগে যে মানচিত্র চিনের কমিউনিস্ট সরকার পাঠিয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছিল যে চিনা সরকার আকসাই চিনকে ব্রিটিশ সরকারের আওতাভূক্ত রেখেছে। পরবর্তী কালে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হতেই আকসাই চিন নিয়ে চিনের দখলদারির মেজাজ শুরু হয়।
জম্মু , কাশ্মীর লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হতেই সমস্যা বাড়ে!
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হতেই চিনের সমস্যা বাড়ে। কারণ আকসাই চিনের একটা অংশ লাদাখ দিল্লির সরাসরি ক্ষমতাধীন হয়ে যায়। আর তাতেই গোঁসা হয়ে যায় জিনপিং সরকারের। ফলে চৈনিক আস্ফালন শুরু হয়ে যায় দেশে।
চিন কোন ভয় পাচ্ছে?
অবৈধভাবে চিন ভারতের অংশের মধ্যে ঢুকতে চাইছে । চিনের আশঙ্কা অবৈধভাবে পাকিস্তান যে সমস্ত এলাতা ভারতের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সেখানেও ভারতীয় সেনা ঢুকে তা কেড়ে নিতে পারে। তাই চিন সীমান্ত সহ একাধিক জায়গায় ভারতের রাস্তা নির্মাণের কূটনীতিকে সহজে মেনে নিতে পারছে না চিন। যার জেরেই তারা চাইছে ভারতকো সাঁড়াশি আক্রমণ করে দমিয়ে রাখা। আর সেই কারণেই পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের পথে বিশেষ করিডর তৈরি করে ফেলেছে চিন।
পরিযায়ীদের নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ! সরকারের মুখোশ খুলবে বিজেপি, বিস্ফোরক রাহুল সিনহা