চিন থেকে আমদানি হওয়া ৩২৭টি পণ্য সরিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারে ভারত, মত বিশেষজ্ঞদের
চিন থেকে আমদানি হওয়া ৩২৭টি পণ্য সরিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারে ভারত, মত বিশেষজ্ঞদের
১৭ই জুন লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশে ক্রমেই বাড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ। সংঘর্ষের জেরে আরও তিক্ত হয়েছে দু'দেশের সম্পর্কও। সেই রেশ এসে পড়ে দেশীয় বাজারেও। এর আগেই চিনের সাথে সমস্ত স্বাভাবিক সম্পর্ক ও একাধিক বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ডাক দেওয়া হয় ভারতের তরফে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে চিনকে আরও কোণঠাসা করে দিতে একাধিক চিনা অ্যাপের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। এমতাবস্থায়, আমদানিকৃত চিনা পণ্যের স্বদেশীকরণের ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা খোলা সম্ভব বলে জানাচ্ছে রিসার্চ অ্যান্ড ইনফোরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ বা রিস।
চিনকে ভাতে মারতে আমদানি কমাচ্ছে ভারত
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন চিন-ভারত বানিজ্যিক সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে বরাবরই চিনের ক্ষেত্রে লাভজনকই ছিল। বর্তমানে এই পথে বেজিংকে ভাতে মারতে চাইছে নয়া দিল্লি। চিনা অর্থনীতিকে বড়সড় ধাক্কা দিতে দেশে চিনা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিতে চায় কেন্দ্র। সদ্য সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এক বছরে এদেশে আমদানি কমায় এখনও পর্যন্ত চিনের ক্ষতি হয়েছে ৩২.২৮ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে এবছর চিনের সঙ্গে ভারতের লেনদেন কমেছে প্রায় ১৮.৬ শতাংশ। এবার চিনা পণ্য আমদানির বদলে ভারতেই তৈরি হবে সেসবের বিকল্প।
চিন থেকে আমদানি পণ্যের চার ভাগের তিনভাগই দেশে উৎপাদন সম্ভব
বিদ্যুতিন সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এতদিন রপ্তানিতে একচেটিয়া বাজার ধরে রেখেছিল চিন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ভারতের সাথে সংঘর্ষের পর এক্ষেত্রেও খানিক মাটি হারায় চিন। সম্প্রতি রিসার্চ অ্যান্ড ইনফোরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ বা রিসের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, চিন থেকে আমদানি করা চার ভাগের তিনভাগ পণ্যই ভারতে উৎপাদন সম্ভব।
কোন কোন চিনা পন্য ভারতেই প্রস্তুত সম্ভব
এদিকে ভারতে আসা প্রায় ৩২৭ রকমের পণ্যই দেশীয় ভাবে প্রস্তত করা সম্ভব বলে জানাচ্ছে রিস। এই তালিকায় রয়েছে মোবাইল ফোন, হেডফোন, মোবাইলের যন্ত্রাংশ, ক্যামেরা, সোলার প্যানেল,মাইক্রোওভেন, এয়ার কন্ডিশন, পেনিসিলিন সহ কিছু অ্যাসিড এবং রাসায়নিক ইত্যাদি। এই জাতীয় ৪০০০ হাজার পণ্যের ৩২৭টিরই স্বদেশীকরণ সম্ভব বলে জানা যাচ্ছে। যা চিন থেকে ভারতে আগত এই জাতীয় পণ্যের মোট রফতানি মূল্যের প্রায় ১০ শতাংশ বলে রিস সূত্রে খবর।
চিনকে কোনঠাসা করতে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করার পরামর্শ
রিসের প্রতিবেদনটির লেখক এস কে মোহান্টি এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুধু চিন থেকে আমদানি কমালেই হবে না, ভারতীয় অর্থনীতিকে জোরদার করতে দেশীয় শিল্পকেও উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র শিল্প গুলির উপরেও বিশেষ জোর দেওয়ার সঙ্গে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যেই, ভারত সরকার মোবাইল, ইলেকট্রনিক পণ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলির উৎপাদনের জন্য বিশেষ নজর দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশে উৎপাদন বাড়লেই কমবে দাম তখন সামগ্রিকভাবেই চিনকে টক্কর দিতে সক্ষম হবে ভারত।
কলেজের ফাইনাল পরীক্ষা কবে! অনিশ্চয়তা কাটাতে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত UGC-কে সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট