সামনেই বাজেট! যেসব বিষয় প্রভাব ফেলতে পারে ব্যক্তিগত আয়কর দাতাদের
২০১৯-এ ভোটের আগে শেষ বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার।
২০১৯-এ ভোটের আগে শেষ বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। ফলে পুরো সময়ের জন্য নয়, অন্তবর্তী এই বাজেট নিয়েও তৈরি হয়েছে আশা। বিশেষ করে যাঁরা ব্যক্তি হিসেবে আয়কর দেন, তাঁদের মধ্যে। সরকারকে বৃদ্ধি এবং রাজস্বের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হলেও, বেশ কিছু প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে।
আয়কর স্ল্যাব
শেষবার সরকার আয়করের স্ল্যাব ঠিক করেছিল ২০১৪-তে। ২.৫ লক্ষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আগে যা ছিল ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই কয়েক বছরের মধ্যে ২০১৭-তে ২.৫ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছিল ৫ শতাংশ। অনেকেরই আশা ছাড় বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করতে পারে মোদী সরকার।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
সরকার গতবছর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পুনরায় চালু করে। চাকরিজীবীদের জন্য তা করা হয় ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পরিবহণ ভাতা এবং নিয়োগকর্তার প্রদত্ত মেডিক্যাল খরচের জন্য ছাড় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।
আয়কর ছাড়
আয়কর আইনের ৮০সি-তে ছাড় বাড়ানো হয়েছিল ২০১৪-তে। ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১.৫ লক্ষ টাকা। ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য এই ছাড় বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে আশা অনেকেরই।
বাড়ির জন্য নেওয়া ঋণে ছাড়
এই মুহূর্তে বাড়ির জন্য নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। ঋণের হার বেড়ে যাওয়ায় এই ছাড় আরও বাড়ানো উচিত বলেই মনেকরছেন ব্যক্তিগত করদাতারা।
এনপিএস বনাম ইপিএফ
ইপিএফ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কর ছাড় থাকলেও, এনপিএস-এর ক্ষেত্রে তা হয় না। ফলে এই ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার আশা করছেন অনেকেই।
(ছবি সৌজন্য: পিটিআই এবং পিক্সঅ্যাবে)