বিতর্কিত প্রয়াণের তিন দশক পর আজও সমান প্রাসঙ্গিক ইন্দিরা গান্ধী
এদিন ভারতের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এদিন ভারতের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিজের বাসভবনে দুই নিরাপত্তারক্ষীর গুলি ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর দেহ।
জওহরলাল নেহরু ও কমলা নেহরুর একমাত্র সন্তান ইন্দিরার আর এক নাম ছিল প্রিয়দর্শিনী। তিনি ১৯৬৪ সালে বাবার মৃত্যুর পরে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তার আগে বিয়ে করেন ফিরোজ গান্ধীকে। দুই সন্তান হলেন রাজীব গান্ধী ও ফিরোজ গান্ধী। মাত্র ৪০ বছর বয়সে রাজীব ভারতের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে তাঁকেও অনেক কম বয়সে হত্যা করা হয়। তার আগে ১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু হয়।
১৯৫৯ সালে ইন্দিরা কংগ্রেস দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। তার আগে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বাবা নেহরুর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন তিনি। নেহরুর মৃত্যুর পরে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন ইন্দিরা। ১৯৬৬ সালে শাস্ত্রীর আচমকা মৃত্যুর পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
তারপরই ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা। দুই বছরের সেই সময়ের পর ফের নির্বাচন হলে তাঁর সরকার পড়ে যায়। সেই নিয়ে বহু সমালোচনা হয়েছিল। প্রেসের স্বাধীনতা ভঙ্গ করা হয়। তারপরে ভোটে জনতা সরকার ক্ষমতায় আসে। যদিও তারপরের ভোটে ফের ইন্দিরা ক্ষমতায় ফেরেন।
তবে ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরার অপারেশন ব্লু-স্টার ফের বিতর্ক বাঁধায়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই দুই শিখ দেহরক্ষী ইন্দিরাকে গুলি করে খুন করেন। তবে ইন্দিরাকে নিয়ে আলোচনা তখন শেষ হয়ে যায়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যেভাবে নানা ইস্যুতে নিজের কঠিন ভাবমূর্তি নিয়ে এগিয়েছেন ইন্দিরা তাতে তিনি মৃত্যুর এতবছর পরও প্রাসঙ্গিক রয়েছেন।
ইন্দিরার সবচেয়ে বড় অবদান মান বাংলাদেশ। সেদেশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে উত্তীর্ণ করতে যা প্রয়োজনীয় তা করেছিলেন প্রিয়দর্শিনী। পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে বাংলাদেশিদের বাঁচিয়ে মহান কীর্তি স্থাপন করেছেন তিনি।