যাত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধর, সাফাই দিল ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ
বিমানযাত্রীকে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিল ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স, রিপোর্টে বিমান সংস্থা জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিমানকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিমানযাত্রীকে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিল ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। রিপোর্টে বিমান সংস্থা জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিমানকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এবং তাঁর প্ররোচনাতেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। রাজীব কাটিয়াল নামে ওই যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংস্থা। তবে কী কারণে তাঁর সঙ্গে বচসা, তারও যুক্তি দিয়েছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স।
রিপোর্টে ইন্ডিগোর প্রেসিডেন্ট আদিত্য ঘোষ জানিয়েছেন, রাজীব কাটিয়াল ভুল করে কেটারিং হাই লিফ্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এই হাই লিফ্ট দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের সঙ্গে আটকানো থাকে। কোনওভাবে তিনি যাতে আহত না হন, তারজন্য় জুবি টমাস নামে এক বিমানকর্মী চেঁচিয়ে তাঁকে সেদিকে যেতে বারণ করতে থাকেন। কিন্তু চারিদিকে বিমানের এত শব্দ থাকায় রাজীব কাটিয়াল সম্ভবত তাঁর কথা শুনতে পাননি। সেকারণেই জুবি চেঁচিয়ে তাঁকে ফের সতর্ক করেন। কেন তাঁর ওপর চেঁচানো হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে জুবি টমাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজীব। যদিও জুবি তাঁর সঙ্গে দুরত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং কোনওভাবে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি বলে দাবি আদিত্য ঘোষের।
কিন্তু এরইমধ্য়ে মন্টু কালরা নামে আরেক গ্রাউন্ড স্টাফ আরও দুই জুনিয়র বিমানকর্মীকে চেঁচিয়ে রাজীব কাটিয়ালকে বাসে ওঠায় আটকাতে বলেন। তিনিই মোবাইলে ভিডিও করে বাকি দুই গ্রাউন্ড স্টাফকে প্ররোচিত করতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর বাসের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজীব কাটিয়াল জুবি টমাসের কলার ধরেন। এরপরই সাহিব শর্মা নামে এক গ্রাউন্ড স্টাফ দুজনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। ধস্তাধস্তির মধ্যেই রাজীব কাটিয়াল মাটিতে পড়ে যান।
আদিত্য ঘোষ রিপোর্টে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, এই পরিস্থিতি অন্যভাবে সামাল দেওয়া যেত। তিনি বলেন, ওই রাতেই ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে রাজীব কাটিয়ালের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে মন্টু কারাল নামে ওই গ্রাউন্ড স্টাফকেও। গোটা ঘটনার তদন্তেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীকে ফেলে মারধরে অভিযুক্ত ইন্ডিগো কর্মী, ভাইরাল হল ভিডিও]