মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিপত্তি, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
তৃণমূলের দাবি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে জ্বালানি শেষ হয়ে এসেছিল, তবুও এটিসির তরফে জরুরী অবতরণের অনুমতি মেলেনি। তবে ইন্ডিগো বিমানসংস্থা বলছে, জ্বালানী কম ছিল না, বিমানের জরুরী অবতরণও হয়নি।
কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : বিমানের জ্বালানি তলানিতে এসে ঠেকেছিল, সেই অবস্থায় জরুরী অবতরণের অনুমতি না পেয়ে মাঝ আকাশেই প্রায় আধ ঘন্টা চক্কর কাটতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানকে। তৃণমূলের অভিযোগ, আর একটু হলেই বিমান ভেঙে পড়ত। নোট বাতিলের বিরোধিতা করায় নেত্রীকে এভাবেই প্রাণে মারার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাটে চক্রান্তই দেখছে তৃণমূল, নালিশ জানাবে রাষ্ট্রপতির কাছেও
জরুরী অবতরণের অনুমতি না পেয়ে মমতার বিমান আধঘন্টা চক্কর কাটল মাঝ আকাশে, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দলের
কিন্তু যেই বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর তরফে কী বলা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল এদিন। ইন্ডিগোর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "পাটনা থেকে কলকাতা আসা ইন্ডিগো বিমানটির জরুরী অবতরণ হয়নি বরং স্বাভাবিক অবতরণই গেঠে। এয়ার ট্রাফিক থাকায় বিমান অবতরণে দেরি হয়েছে।"
ঘটনার দায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র উপরই চাপিয়েছে ইন্ডিগো। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ককপিট থেকে এটিসি-র কাছে যে বার্তা পাঠানো হয়েছি তা ভুল বুঝেছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার।
পাশাপাশি বিমানচালক একবারও জ্বালানী কম বা জরুরী অবস্থার ঘোষণা করেননি বলেও ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরও বিমানে প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন জ্বালানী ছিল।
অথচ এদিন মমতার বিমান বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। এই বিষয়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানায় কংগ্রেসও।