নাম বদলে দিন তাড়াতাড়ি, আর্জি ভারতের মধ্যে থাকা অন্য 'পাকিস্তান'-এর
নাম বদলে দিন তাড়াতাড়ি, আর্জি ভারতের মধ্যে থাকা অন্য 'পাকিস্তান'-এর
এক পাকিস্তানকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভারত আর দেশের মধ্যেই রয়েছে কিনা আর এক 'পাকিস্তান’। তাও আবার বিহারে। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। এমনকী সেখানে রয়েছে শ্রীনগরও।
দেশের প্রতিবেশী এবং শ্রীনগরের দেখা মিলবে বিহারের পুর্নিয়া জেলায়। তবে এই দুই এলাকার সঙ্গে পাকিস্তান বা জম্মু–কাশ্মীরের কোনও যোগাযোগ নেই। পুর্নিয়ার শ্রীনগর ব্লকের ছোট একটি গ্রামের নাম পাকিস্তান। এখানে বসবাস করেন ১৫০ জন গ্রামবাসী। তাঁরা জানেনও না কেন তাঁদের গ্রামের নাম পাকিস্তান।
ওই গ্রামে কোনও মুসলিমের বাস নেই। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাকিস্তান গ্রামের নাম বদল করে বিরসা নগর করা হোক। কারণ গ্রামবাসীরা বিরসা মুণ্ডাকেই ভগবান বলে মানেন এবং এই গ্রামটি তাঁর নামে হলে বিরসা মুণ্ডার প্রতি শ্রদ্ধাও দেখানো হবে।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা পুর্নিয়ার বিডিওকে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধার কার্ডে যখন দেখেন যে তাঁরা পাকিস্তানের বাসিন্দা তখন নিজেদেরই লজ্জা বোধ হয়। প্রতিবেশী দেশের নামে তাঁদের গ্রামের নাম। জানা গিয়েছে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বেশিরভাগ মুসলিমরা এই জায়গা ছেড়ে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে যায়। মুসলিমরা তাঁদের এই জমি স্থানীয় আদিবাসীদের দান করে দিয়ে যান এবং ওই মুসলিমদেরই ইচ্ছা ছিল যে গ্রামের নাম পাকিস্তান হোক।
১৯৫৬ সালে রাজ্যে পুর্নগঠন আইনের আগে, পুর্নিয়া সীমান্ত ভাগ হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরের সঙ্গে। অন্যদিকে পূর্ব বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ হয় ইসলামপুরের। শ্রীনগরের সার্কেল অফিসার নন্দন কুমারের কাছে পাকিস্তান গ্রামের বাসিন্দারা আবেদন করে জানিয়েছেন যে তাঁরা তাঁদের গ্রামের নাম বদল করতে চান।
নন্দন কুমার বলেন, 'গ্রামবাসীরা এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে গ্রামে কোনও মুসলিম থাকে না, তাই কোনও কারণ নেই গ্রামকে পাকিস্তান বলার। অধিকাংশ বাসিন্দাই আদিবাসী। গ্রামবাসীদের দাবি, বিরসা মুণ্ডার নামে তাঁদের গ্রামের নাম হোক বিরসা নগর। যথাযথ পদক্ষেপের জন্য পুর্নিয়ার জেলা শাসকের কাছে এই আবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’