গৃহস্থলীর পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়াতেই কমছে দেশের জিডিপি
গৃহস্থলীর পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়াতেই কমছে দেশের জিডিপি
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ৪.৯ শতাংশে নামতে চলেছে। এর অন্যতম কারণ হিসাবে গৃহস্থলির দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রীর চাহিদা হ্রাসকেই প্রধানত দায়ী করছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থা মুডি।
সাধারণ মানুষের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা কমবে
মুডি ওই সংস্থা দাবি করেছে যে গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নমুখী। এর ফল স্বরূপ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে আরও সংকোচিত করবে বলে মনে করছে দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পাশাপাশি এর ফলে খুচরো ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধে এই অর্থনৈতিক পারাপতন ক্রমেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে মত তাদের।
বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলির ঋণের পরিমাণ কমবে
এর ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলির ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। মুডি এক বিবৃতিতে বলেছে যে ভারতে বিনিয়োগের পরিমাণ বহুলাংশে কমে যাওয়ায় যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে তার ফলে গ্রামীণ পরিবারগুলি তীব্র আর্থিক সমস্যা এবং স্বচ্ছ কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছে।
দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে নিতে হবে সরকারি পদক্ষেপ
মুডির সহকারী সহ সভাপতি দেবোরাহ টান বলেন, গ্রামীণ পরিবারগুলির মধ্যে আর্থিক দূরাবস্থার পাশাপাশি কৃষি মজুরি বৃদ্ধির ফলে উত্পাদন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি জমি ও শ্রম আইনের কারণে ভারতে সেই ভাবে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে না।"
এদিকে, মুডি প্রত্যাশা করছে যে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে সরকারকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কৃষক এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহায়তা এবং অতিরিক্ত কর্পোরেট কর ছাড় সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এইরকম মন্দার পরিস্থিতি কাটানো সম্ভব।
কমানো হচ্ছে কর্পোরেট কর
সূত্রের খবর, গার্হস্থ্য পণ্যের চাহিদাকে উত্সাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। সরকার ইতিমধ্যেই কৃষক এবং নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহায়তা করার কথা ঘোষণা করেছে এবং কর্পোরেট করের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করেছে। তবে এই পদক্ষেপগুলির সম্ভবত সীমিত কার্যকারিতা থাকবে। যদিও আগামীতে অটোমোবাইল শিল্পে মন্দা জারি থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে।