দুই রাষ্ট্রের বাণিজ্যিক উন্নয়নের দাবি মোদী- শিনজো আবের, আসল সত্যটা জানলে চমকে উঠবেন
মোদী- শিনজো আবে বাণিজ্য বিস্তারের কথা বললেও আসলে গত ৪ বছরে জাপানে রফতানির মাত্রা অর্ধেকে নেমে এসেছে, ৬.৮১ বিলিয়ন থেকে ২০১৬-১৭ সালে তা নেমে এসেছে ৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে
ভারত- জাপান যতই বাণিজ্য নিয়ে হইচই করুক না কেন, আসল সত্যটা কিন্তু একেবারেই আলাদা। মোদী- শিনজো আবে বাণিজ্য বিস্তারের কথা বললেও আসলে গত ৪ বছরে জাপানে রফতানির মাত্রা অর্ধেকে নেমে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩-১৪ সালে যেখানে জাপানে রফতানি থেকে ভারতের আয় ছিল ৬.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সেটাই ২০১৬-১৭ সালে তা নেমে এসেছে ৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
[আরও পড়ুন:আতিথেয়তায় অভিভূত শিনজো আবে, বাণিজ্যিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ]
২০১১ সালে ভারত ও জাপানের সই করা সিইপি চুক্তি অনুযায়ী দুই রাষ্ট্রই পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াবে। কিন্তু গত ৫ বছরের মধ্যে ৪ বছরেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে ওঠার বদলে আরও পড়তে থাকে। এই চার বছরে রফতানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্যের ঘাটতি বেড়ে হয়েছে ৫.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০১২-১৩ সালে ছিল ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যে এই মন্থর গতি ভারতের জন্য যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ বলে টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একদিকে ভারতের বাজারে জাপানি পন্য সেভাবে নজর কাড়তে পারছে না, অপরদিকে জাপানের বাজার ধরতে সমস্যা হচ্ছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও। এর কারন হিসেবে মূলত ভাষাগত সমস্যাকেই ধরা হচ্ছে।
দুই রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অবস্থাও খুব ভাল নয়। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত পরিষেবা জাপানের বাজারে ১ শতাংশেরও কম। জাপানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যেই এই ঘাটতিকে উদ্বেগজনক বলা হচ্ছে কারণ অন্যান্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুনমানের বিষয়ে জাপানে খুবই কড়াকড়ি। জাপানের সঙ্গে গুনগত মানে পেরে না ওঠা পর্যন্ত জাপানের বাজারে ভারত খুব বেশি সুবিধে করতে পারবে না।