সাড়ে তিন হাজার অতিক্রম করল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, কমেছে মৃতের সংখ্যা
করোনা ভাইরাসের বিপদ যে একেবারে আমাদের পিছু ছাড়েনি তা প্রায়দিনই বিভিন্ন রাজ্যের পরিসংখ্যান জানান দিয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ৩,৫৪৫টি নতুন করোনা সংক্রমণের কেস পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে দেশের মোট সংক্রমণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৪,৪০,৯৪,৯৩৮। যা গতকালের তুলনায় ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের এবং এইনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এসে পৌঁছেছে ৫,২৪,০০২–তে। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দৈনিক মৃতের সংখ্যা কিছুটা কম। বৃহস্পতিবার দেশে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় দেশজুড়ে চলা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী মাস্ক পরার ওপরও সেভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলস্বরূপ বাড়ছে করোনা ভাইরাস। এছাড়া ওমিক্রনের সাব–ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১২–এর কারণেও দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ সালের ৭ অগাস্ট ভারতে কোভিড–১৯–এর সংখ্যা পার করেছিল ২০ লক্ষের মাইলস্টোন এবং ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তা এক কোটিতে পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের ৪ মে এই সংক্রমণ অতিক্রম করে ২ কোটি এবং ২৩ জুনের মধ্যে তা তিন কোটিতে পৌঁছে যায়। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে ৭০ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে কো–মর্বিডিটিসের কারণে। যদিও হু এক রিপোর্টে দাবি করেছে যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ভারতে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৪৭ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্টের দাবি ভারতে করোনায় মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি এবং বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
অন্যদিকে কেরলে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেই কেরলকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। কেরল সরকারও তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গত কয়েক দফায় করোনা ওয়েভে কেরলে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। তাই আগে থেকে এই নিয়ে সতর্ক কেরল সরকারের।