পাকিস্তানি প্রেমিকার টানে যুবকের কাঁটাতারের বাঁধা পেরোনোর চেষ্টা, আটক বিএসএফের হাতে
ভালোবাসার টান কি কোনও বাধা–প্রতিবন্ধকতা মানে? সে শুধুই জানে ভালোবাসার মানুষের কাছে যেভাবেই হোক পৌঁছাতে হবে। আর তাই ভালোবাসার টানে সীমান্ত পার হয়ে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন প্রেমিকার কাছে। গুগল ম্যাপকে সঙ্গী করে মহারাষ্ট্র থেকে পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু বাধ সাধল বিএসএফ।

গুজরাতের কচ্ছের রান থেকে বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেফতার করে ২০ বছরের সিদ্দিকি মহম্মদ জিশানকে। বিএসএফ সূত্রের খবর ভারত–পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন জিশান। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিএসএফ -এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পাকিস্তানের করাচির শাহ ফৈজল শহরের বাসিন্দা সামারা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে। এরপর তাঁরা দু’জনে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকের মধ্য দিয়ে তাঁদের মধ্যেকার বন্ধুত্বকে ভালোবাসায় পরিণত করে। আর প্রেমিকার কাছে পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করতে উদ্যোগ নেয় ভারতের ২০ বছরের যুবকটি।
বিএসএফ জওয়ানরা জানিয়েছেন যে, জিশানের কথানুযায়ী তিনি পাকিস্তানে সামারার কাছে যাওয়ার জন্য গুগল ম্যাপের নেভিগেশনের সহায়তা নিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে জিশানের বাবা মা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই মহারাষ্ট্র পুলিশ জিশানের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করে। তাতেই দেখা যায় জিশানের অবস্থান ধোইভিরার কাছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ গুজরাত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিশানেপ সমস্ত তথ্য তুলে দেয়। তারপর গুজরাত পুলিশ এই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মহারাষ্ট্রের নম্বরের একটি বাজাজ স্কুটার উদ্ধার করে। সেটি জিশানের বলেই জানায় পুলিশ। এরপরই জিশানের তথ্য তুলে দেওয়া হয় বিএসএফ জওয়ানদের হাতে।
বিএসএফ জওয়ানরা জিশানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। দীর্ঘ সময় পর জল শূণ্য কচ্ছের রানের অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জিশানকে। জিশানের সঙ্গে প্যান, আধার ও এটিএম কার্ড ছিল। সেগুলিও উদ্ধার হয়। পাশাপাশি উদ্ধার হয় তার মোবাইল ফোনটিও। বিএসএফ জানিয়েছে জিশানকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
