তালিবানের জন্যে রণকৌশল বদলাচ্ছে বিএসএফ-সিআরপিএফ! বিশেষ নির্দেশিকা সমস্ত রাজ্য পুলিশেও
কুড়ি বছর আগের তালেবানের সঙ্গে এখনকার তালিবানের অনেক তফাৎ । এখন তাদের হাতে রয়েছে আরও অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র। গোটা আফগানিস্তানের তখন তো তারা নিয়েছে বটেই, যেখানে কোনোদিন তারা পা রাখেন এসেই পঞ্চশীরেও প্রবেশ করেছে তালিবরা।
কুড়ি বছর আগের তালেবানের সঙ্গে এখনকার তালিবানের অনেক তফাৎ । এখন তাদের হাতে রয়েছে আরও অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র। গোটা আফগানিস্তানের তখন তো তারা নিয়েছে বটেই, যেখানে কোনোদিন তারা পা রাখেন এসেই পঞ্চশীরেও প্রবেশ করেছে তালিবরা।
তাই তালিবানের গতিবিধি এখন আর সহজে অনুমান করা যাচ্ছে না। এমনকি ভারতের দিকেও তারা পা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে গোয়েন্দাদের। তাই তালিবান এর মোকাবিলা করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকে।
তালিবানের মোকাবিলা করার জন্য নতুন ট্রেনিং মডিউল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এর মোকাবিলা করতে যাতে সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকে বিএসএফ বা সিআরপিএফের মত বাহিনী তার জন্যই এই ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের যেভাবে রাতারাতি দখল নিয়েছে তালিবান, ভারতীয় তারা যেকোনো সময় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, যেভাবে তালিবানের হাতে কাবুলের পতন হয়েছে রাতারাতি তাতে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের সমস্ত কৌশল এবং যুদ্ধের যদি বদল করা হয় পরিস্থিতি সাপেক্ষে। ভারতের সীমান্তে যেকোনো সময় সন্ত্রাসবাদি হানা হতে পারে, তাই চেনা রীতি থেকে বেরিয়ে নতুন কৌশল রপ্ত করতে হবে নিরাপত্তা বাহিনীকে।
শুধু তাই নয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত হয়ে সন্ত্রাসবাদি হানা দিতে পারে। সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অদূর ভবিষ্যতে বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন সীমান্ত রক্ষায় সব বাহিনী মোতায়েন করা আছে অর্থাৎ বিএসএফ, এসএসবি, রাজ্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট, সিআরপিএফ ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বিভাগ তাদের ট্রেনিং পদ্ধতিতে বদল আনতে চলেছে।
রাজ্য পুলিশ কেউ এই বিশেষ নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশের চাকরি পাওয়ার সময় যে ট্রেনিং দেওয়া হয় সেখানেও বদল আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সীমান্তে যেসব বাহিনী মোতায়েন রয়েছে তাদের তালেবানের ইতিহাস জানা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
এক আধিকারিকের জানান উচ্চপদস্থ আধিকারিক রা তালিবান আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কিন্তু সীমান্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে যারা পাহারা দেয় তাদের কাছে সব তথ্য নাও থাকতে পারে। তাই তাদেরকে সবটা জানাতে হবে। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কার্যত এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছে তালিবানরা। কেরলে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে। আগামিদিনে তালিবরা তাঁদের সাহায্যে ভারতে হামলা চালাতে পারে বলে একটা আশঙ্কা রয়েছে।