অন্তর্বাসে শুধুমাত্র একটা মাইক্রো চিপ, প্রতিরোধ করবে যৌন হেনস্থা, আবিষ্কার ভারতীয় তরুণী বিজ্ঞানীর
ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী মনীষা মোহনের নতুন আবিষ্কার সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষণা জগতে।
ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী মণীষা মোহনের নতুন আবিষ্কার সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষণা জগতে। মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন রুখতে তাঁর আবিষ্কার এক নতুন দিশা দেখাতে চলেছে মহিলার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ।
মণীষা মূলত আবিষ্কার করেছেন একটি স্টিকারের মত সেন্সর, যা পরিধানযোগ্য। এটি পরে থাকা অবস্থায় কেউ যদি মহিলাকে যৌন হেনস্থা করতে আসে, তাহলে সেই ঘটনার রিয়াল টাইম ওই সেন্সরটির মাধ্যমে জানা যাবে। অর্থাৎ জামা বা অন্তর্বাসে এই সেন্সর ডিভাইসটি লাগানো থাকলে তার দ্বারা রোখা যেতে পারে যৌন হেনস্থা।
যেকোনও জামাতেই স্টিকার লাগানোর মতে করে এই সেন্সরটি লাগিয়ে নেওয়া যাবে। এই সেন্সরটি বুঝে নিয়ে পারবে, যে কেউ কোনও মহিলাকে জোর করে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে কি না। উল্লেখ্য, কোনও মহিলা যদি অচৈতন্য অবস্থায় থাকেন, আর সে সময় যদি তাঁকে হেনস্থা করা হয়, সেন্সর তাও বুঝে নিতে পারবে। শয্যাশায়ী , কিমবা শিশু ও নাবালিকাদের ক্ষেত্রেও সেন্সর বুঝে নিতে পারবে যে , তার হেনস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো ক্ষমতা নেই, এবং তার ওপর ক্রমাগত জবরদস্তি চলছে।
সেন্সরটির সঙ্গে অ্যলার্ম কল সেট করা থাকবে। তার দ্বারা কোনও মহিলা আক্রান্ত হলেই, নিজের কাছের মানুষ বা আপৎকালীন পরিষেবার নিযুক্ত কোনও বিভাগকে খবর দিতে পারবেন ঘটনাস্থল থেকেই। এর জন্য শুধু একটি বোতাম টিপলেই খবর চলে যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পরিষেবার কাছে। যদি তা নাও হয় , তাহলেও ডিসট্রেস কলের ব্যবস্থা থাকবে সেন্সর ডিভাইসটিতে। সেন্সটরটি অ্যাকটিভ মোডে থাকলে, বাইরের পরিবেশ থেকে সে সিগন্যাল ডিটেক্ট করতে পারবে, বুঝে নিতে পারবে কোনও বিপদ সামনে রয়েছে কি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে কর্মরত মণীষা মোহনের এই আবিষ্কার যে অপরাধ ও অপরাধীদের পর্দা ফাঁস করে দিতে সাহায্য করবে তা বলাই বাহুল্য। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রী হিসাবে চেন্নাইতে পড়াকালীন এমন কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার সামনে পড়েছিলেন মণীষা , যা তাঁকে উদ্বু্ধ করে এমন একটি ডিভাইস তৈরি করতে। তিনি বলেন, ' একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর মহিলাদের বাইরে থাকতে বারন করা হয়। সন্ধ্যের পর বাড়িতে ঢুকে পড়তে বলা হয়। তাঁদের ঘরের মধ্যে থাকতে না বলে, তাঁদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত।'