নদীতে তো পূণ্য স্নান তো করছেন, এর মাধ্যমে শরীরের কত ক্ষতি করছেন জেনে নিন
দিল্লিতে যমুনাই হোক কিংবা কর্নাটকের কাবেরি, ভারতের বড় নদীগুলির সবই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটিরিয়ার ভাণ্ডার। বাড়ছে জীবনহানির আশঙ্কা। কেন্দ্রের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।

কাবেরি নদীর একাধিক জায়গায় জলের পরীক্ষায় দক্ষিণ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ এই নদীর সমস্যার গভীরতা ধরা পড়েছে।
উত্তর ভারতের গঙ্গা, যমুনাসহ একাধিক নদীর জলও পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে উৎসবের মাসগুলিতে দূষণের অত্যাধিক মাত্রা ধরা পড়েছে।
কাবেরিতে ২০১৫-র পরীক্ষায়, ১০০ শতাংশ ইকোলাই ব্যাকটিরিয়া ধরা পড়েছে। যা তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পরিন প্রতিরোধী। ২০১১-১২ সালে গবেষকরা ২৮৩ টি নদীর নমুনা সংগ্রহ করে এবং দেখা যায় সংগৃহীত নমুনা পুরোপুরি অ্যাম্পিসিলিন এবং সেফোট্যাক্সিম প্রতিরোধী। যা ৭৫ শতাংশ সিপ্রোফ্লক্সেসিন প্রতিরোধী।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং দয়ানন্দ সাগর ইনস্টিটিউশন কাবেরির দশটি জায়গায় জল পরীক্ষা করেছেন। জায়গাগুলি হল, তালাকাবেরি, নাপোকলো ব্রিজ, কাবেরি নিসারগান্ধামা, বালমুরিক্ষেত্র, রানগনথিট্টু, শ্রীরঙ্গাপটনা, নানজানগুড, টি নারাসিপুরা( কাপিলা), টি নারাসিপুরা( কাবেরি) এবং তালাকাডু।
২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিহার, গোয়া, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানার মতো পাঁচটি রাজ্যের নদী এবং সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে নেওয়া জলের পরীক্ষায় ৪৪৬ টির মধ্যে
১৬৯টির ( ৩৭.৯ শতাংশ) ইকোলাই এক্সটেনডেড-স্পেকট্রাম সেফালোস্পোরিন প্রতিরোধী।

স্নানের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ব্যাকটিরিয়া
রিপোর্টে প্রকাশ, বছরের উৎসবের যে সময়ে গঙ্গার স্নান বেশি হয়, সেই সময়ে বছরের অন্য সময়ের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট জিন বেশি থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ভারতেই সবথেকে বেশি প্রতিরোধী ব্যাকটিরিয়া
জনস্বাস্থ্যে পক্ষে খারাপ খবর হল, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটিরিয়া থাকলেও, ভারতেই এই সংখ্যা সব থেকে বেশি বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, কীভাবে নদী এবং ভূগর্ভস্থ জল দূষিত হচ্ছে এই ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাকটিরিয়ার মাধ্যম।