মাত্র পাঁচ মাসে অভাবনীয় সাফল্য ভারতীয় রেলের, সরছে প্রায় ৩ হাজার মানবহীন লেভেল ক্রসিং
দেশের বড় ট্রেন রুটে মাত্র পাঁচ মাসে প্রায় তিন হাজারের মতো মানবহীন ক্রসিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
পাঁচ মাস আগে এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে ১৩জন স্কুল পড়ুয়া মানবহীন রেল ক্রসিং পার হতে গিয়ে মারা যায়। সেই ঘটনা সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। রেল মন্ত্রকের মুণ্ডপাত করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তারপরে কোমর বেঁধে নামে রেল। দেশের বড় ট্রেন রুটে মাত্র পাঁচ মাসে প্রায় তিন হাজারের মতো মানবহীন ক্রসিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সেইসময়ে মোট ৩৪৭০টি মানবহীন লেভেল ক্রসিং ছিল। এই মাসের শেষে বাকী থাকবে মাত্র ৬০০টির মতো ক্রসিং। সেটারও এই বছরের মধ্যে কাজ সেরে ফেলা হবে। বাকীগুলিতে হয় রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। অথবা ক্রসিংই তুলে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সেই সমস্ত জায়গায় যেখানে ট্রেন ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় যাতায়াত করতে পারে। যে ক্রসিংয়ে সারা দিনে বেশি লোক যাতায়াত করে না, সেগুলিকে তুলে ফেলা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
মানবহীন রেল ক্রসিংয়ের ফলে রেলের অনেক ক্ষতি হচ্ছিল। অনেক সময় রেল ঠিকমতো চললেও দুর্ঘটনার জেরে রেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ফলে রেলের ক্ষতি হয়। তাই আগামিদিনের প্রকল্পগুলিতে খুব বুঝে শুনে রেল লেভেল ক্রসিং তৈরির পরিকল্পনা করছে রেল।
প্রসঙ্গত, ২০০৭-০৮ সাল থেকে মানবহীন রে ক্রসিংয়ের ফলে ১২৭২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে ২০১১-১২ সালে ২০৪ জন মারা যান। এবছরে ১৬জনের প্রাণ গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে এপ্রিলে কুশিনগরেই ১৩জন শিশু মারা গিয়েছে।