রং পাল্টাচ্ছে, কেমন হবে ট্রেনের নতুন স্লিপার কোচগুলো
কলকাতা শহরে যেদিকে তাকানো যায় এখন কাবল নীল সাদা রঙ চোখে পড়ে। সরকারি বাড়ির দেওয়াল, রাস্তার পাশের লাইটের পোস্ট সহ জায়গাতেই।
কলকাতা শহরে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকে শুধুই নীল-সাদা রঙ। সরকারি বাড়ির দেওয়াল, রাস্তার পাশের লাইটের পোস্ট- সব জায়গাতেই। এই নিয়ে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন এক রং দেখতে-দেখতে চোখ বৈচিত্র খোঁজে। শুধু তিনি কেন, সব মানুষের চোখই বৈচিত্র খোঁজে। আর এই বৈচিত্রের কথা মাথায় রেখেই মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে নতুন করে সাজাতে চলেছে রেল দপ্তর। চিরাচরিত নীল রঙের পোচ পাল্টে নতুন-নতুন কালার-স্কিম ব্যবহার করা হবে স্লিপার কোচগুলিতে।
সম্প্রতি নর্দান রেলওয়েকে সাতটি নতুন কালার-স্কিম দেওয়া হয়েছে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে রঙ করার জন্য়। রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল ও রেল-বোর্ডের চেয়ারম্য়ান অশ্বনি লোহানি এর মধ্যে নতুন রং করা কামরাগুলো পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আপাতত ঠিক হয়েছে প্রথমে বাদামি ও হলদেটে রঙ লাগানো হবে। তারপর আমজনতার মতামত অনুযায়ী রং নিয়ে পরীক্ষা চলবে।
অবশ্য় এর আগেই ভারতীয় রেল-বোর্ড বিশেষ বিশেষ ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে নানা কালার-স্কিম ব্য়বহার করেছে। সম্পূর্ণ এসি থ্রি-টিয়ার সম্পন্ন ট্রেন হামসফর এক্সপ্রেসে দেওয়া হয়েছে নীল ও কমলা রং। তেজস এক্সপ্রেসে ব্য়বহার হয়েছে উজ্জ্বল হলুদের সঙ্গে কমলা রঙ। শুধু কালার-স্কিমের পরিবর্ত নয়, পরিবর্তন হচ্ছে রঙের ধরণেও।
নয়া রং করা ট্রেনগুলিতে থাকছে অ্য়ান্টি- গ্রাফিতি কোটিং। ফলে এর গায়ে আঁকিবুকি কাটা যাবে না এবং এগুলি হবে স্ক্র্য়াচলেস অর্থাৎ আঁচড়ের দাগও পড়বে না। সেইসঙ্গে ইন্টিগ্রাল-কোচ ফ্য়াক্টরিতে তৈরি হয়েছে পেইন্টলেস ট্রেনও। এভাবে নানাভাবে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, যার লক্ষ্য় খরচ কমানো।