তজসের পর একের পর এক ট্রেন লেটে ক্ষতিপূরণ! ২০২০-র লক্ষে নয়া ভাবনা ভারতীয় রেলে
এবার আর শুধু তেজস নয়, একের পর এক ট্রেন লেটে, যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের ভাবনা ভারতীয় রেলের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেলমন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছে। জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলিতে এই প্রকল্প চালু করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। তবে প্রিমিয়াম ক্যাটেগরির ট্রেন দিয়েই তা শুরু করা হবে।

২০২০ সাল নাগাদ প্রিমিয়ার ক্যাটেগরির ট্রেনগুলিতে এই প্রকল্প চালুর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। দিল্লি ও লখনৌ-এর মধ্যে চলাচলকারী তেজস এক্সপ্রেসে এইমধ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
ভারতে প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে, রাজধানী, শতাব্দী, গতিমান, তেজস, বন্দে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেলমন্ত্রক প্রথমেই এই প্রকল্প চালু করতে চাইছে দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-কলকাতা, দিল্লি-হাওড়া রুটের রাজধানী এবং শতাব্দীতে। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে, একঘন্টা এবং তার বেশি সময়ের জন্য ১০ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। এই লেট দুঘন্টার বেশি হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব জানিয়েছেন, লখনৌ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেসের পর ক্ষতিপূরণের প্রকল্প অন্য ক্যাটেগরির ট্রেনগুলির জন্যও চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে। বহু অপেক্ষিত ডেডিকেডেড ফ্রেট করিডর চালু হয়ে গেলে, বেশিরভাগ মালগাড়ি সেই লাইন দিয়ে চলাচল করবে। ফলে রেল ট্র্যাকে যাত্রীবাহী গাড়ির স্পিড যেমন বাড়ানো যাবে, ঠিক তেমনই, ট্রেনের সময়ানুবর্তিতাও উন্নত করা যাবে। এই ডেডিকেডের ফ্রেট করিডর চালু করার সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সম্প্রতি, একট প্রস্তাব পাশ করেছে, বেশ কিছু ট্রেনের গতি ঘন্টায় ১৬০ কিমি করার জন্য। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে বর্তমানে এই গতি ঘন্টায় ১৩০ কিমি। ফলে নির্দিষ্ট দূরত্বের ট্রেনের জন্য প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা কম সময় লাগবে। এর জন্য ১৩,৪৮৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।