মোদী জমানার ৫ বছরে কোন পথে রেল! একনজরে পরিষেবার খুঁটিনাটি
নরেন্দ্র মোদীর সরকার নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত রেলসফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে দুর্ঘটনায় বহু সংখ্যক আহত এবং মৃত্যুর ঘটনার পর ২০১৭-১৮ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যাটা নেমে গিয়েছে ৭৩-এ।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত রেলসফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে দুর্ঘটনায় বহু সংখ্যক আহত এবং মৃত্যুর ঘটনার পর ২০১৭-১৮ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যাটা নেমে গিয়েছে ৭৩-এ। যা সাম্প্রতিককালে সর্বনিম্ন।
২০১৩-১৪ সালে সারা দেশে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১১৮ টি। আর তা ২০১৭-১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ৭৩-এ। প্রায় ৬২ শতাংশ ট্রেন দুর্ঘটনা কমেছে এই ক-বছরে। এর পিছনে কারণও রয়েছে। রেল ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে পুরনো ট্র্যাকের পরিবর্তনও করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। এই কাজ বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫০ শতাংশের মতো। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে ২৯২৬ কিমি রেল ট্র্যাকের পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেখানে ২০১৭-১৮ সালে ৪,৪০৫ কিমি ট্র্যাকের পরিবর্তন করা হয়েছে।
রেলের তরফে রাজধানী এক্সপ্রেস. দিল্লি অমৃতসর শতাব্দী এক্সপ্রেস-সহ দেশের ১৪ টি বিশেষ ট্রেনের যাত্রার সময়ও কমানো হয়েছে। ট্রেনগুলি রাজধানী দিল্লি থেকে হাওড়া, পটনা-র মধ্যে চলাচল করে। সিলন্যালিং সিস্টেমেরও উন্নতিসাধন করা হয়েছে। টাইম টেবলের পরিবর্তনের ফলে ২০১৬-র অক্টোবর নাগাদ রাজধানী-শতাব্দী-সহ ৩৫০ টি মেল/এক্সপ্রেস এবং ৭৪ টি সুপারফাস্ট ট্রেন ৫ থেকে ২৫ মিনিটের আগেই গন্তব্যে পৌঁছে যেত।
এবছরে রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে সারা দেশের ট্রেনের জন্য 'ট্রেনস অ্যাট আ গ্ল্যান্স' নামক টাইম টেবল প্রকাশ করা হয়। যা কার্যকরী হয়েছে ১৫ অগাস্ট থেকে। এছাড়াও ১৭ টি জোনাল রেলের তরফে ৫ টি জোনাল টাইম টেবল প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭-১৮ সালে ৯০ টি নতুন সেবা চালু করা হয়েছে। ৪৩ টি সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও ৯ টি সেবার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান বছরে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত, ৩৫ টি সেবা চালু করা হয়েছে। ২৮ টির পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটির ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়েছে।