ট্রেনে শ্রমিক মৃত্যু বা ট্রেনের পথ হারানো, দায়ী 'সময়'! এ কেমন অজুহাত রেলের?
একটানা লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পরিযায়ী শ্রমিকেদর দল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে গত দু'সপ্তাহ থেকেই ভিন রাজ্য আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। তবে এরই মধ্যে একাধিক ঘটনা ঘটেছে রেলকে ঘিরে।
উত্তরপ্রদেশে ট্রেনে শ্রমিকের মৃত্যু
যেমন এদিনই উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে সেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকেই দুই যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বুধবার মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশগামী একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বারাণসীতে পৌঁছালে ওই ট্রেন থেকেই দুই যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
রেল যাত্রার সময় অসুস্থ হয় শ্রমিকরা
মুম্বই থেকে যাত্রা করার দু'দিন পরে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে বারাণসীর মান্দুয়াডিহ স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। দুই মৃত যাত্রীর মধ্যে একজন প্রতিবন্ধীও রয়েছেন বলে রেল সূত্রে খবর। যদিও ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অপর জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে রেল সূত্রে খবর।
পথ হারায় রেল
এদিকে কয়েকদিন আগেই একটি ঝাড়খণ্ডগামী রেল পথ 'হারিয়ে' ওড়িশা চলে যায়। যার পিছনে কারণ হিসাবে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রেল। তবে এই সব ঘটনার জন্যেই রেলের জন্য দায়ি করা হল অভূতপূর্ব সময়কে।
শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা
ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সফর করার সময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। অনেকে ট্রেনে সফর করার সময় খিদে ও ধকলের জেরে মারাও গেছেন। আর এই বিষয়টি বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে।
৯১ লাখ শ্রমিককে তাঁদের রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে
সুপ্রিমকোর্টের এক পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ১ মে থেকে স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে ৯১ লাখ শ্রমিককে তাঁদের রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শেষ কয়েকদিনে রেলের তরফে ৮৪ লাখ মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, যতদিন না পর্যন্ত সমস্ত শ্রমিক তাঁদের বাড়ি ফিরতে পারছেন ততদিন পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হবে না। তাতেও সমস্যা মিটছে না।
বারে বারেই রঙ বদলাচ্ছে করোনা, শরীর ভেদে ভিন্ন আচরণ ও উপসর্গে বদলের জেরে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা