ট্রেনে বসছে জিপিএস সিস্টেম, ৭০০টি ট্রেনের উপর নজরদারি চালাবে রেল
রেল পরিষেবা উন্নত করতে আরও কড়া পদক্ষেপ করল ভারতীয় রেল। ৭০০-রও বেশি ট্রেনে বসানো হচ্ছে জিপিএস সিস্টেম। ট্রেনের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।

জিপিএস ট্র্যাকারে চলবে নজরদারি
ক্যাবের মতো এবার লোকাল ট্রেনেও বসবে জিপিএস। যাতে সহজেই ট্রেনের অবস্থান এবং গতিবিধি কন্ট্রোলরুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেকারণেই এই বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। কোন ট্রেন কী গতিতে চলছে তা সহজেই কন্ট্রোল রুম থেকে ট্র্যাক করা যাবে। সেই মতো নির্দেশও দিতে পারবেন কন্ট্রোল রুমের কর্মীরা।

ইসরো তৈরি করেছে বিশেষ জিপিএস
ট্রেনে যে জিপিএস বসানো হচ্ছে তা তৈরি করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই জিপিএসের নাম কনট্রোল অফিস অ্যাপলিকেশন বা সিওএ। এই সিস্টেমের সাহায্যে ট্রেনের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি চালাতে পারবে কনট্রোল রুম। দুটি স্টেশনের মাঝে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও সেটা ট্র্যাক করতে পারবে কন্ট্রোলরুম।

একাধিক সুবিধা হবে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেলপরিষেবােক উন্নত করার জন্য উঠে পড়ে কাজ শুরু করেছে। একাধিক ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে। এখন মাত্র ১০ ঘণ্টায় মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে। লোকাল ট্রেনের পরিষেবা উন্নত করতেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম এই জিপিএস ট্র্যাকিং। এতে একদিকে যেমন ট্রেনের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো যাবে, ঠিক তেমনই মালবাহী ট্রেনের চুরিও আটকানো যাবে। মালগাড়ি কোথায় রয়েছে। কেন দাঁড়িয়ে আছে সেটা অনায়াসে ট্র্যাক করা যাবে।
আরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার জানিয়েছেন, জিপিএস বসানোয় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তাঁরা। কারণ এতোদিন দুটি স্টেশনের মাঝে কোনও চুরি হলে তার হদিশ করা কঠিন হয়ে পড়ত। এবার ঠিক কোন জায়গাটায় ট্রেনে চুরি হয়েছে। বা ট্রেন দাঁড়় করিয়ে চুরি ছিনতাই করা হয়েছে কিনা সেটা ট্যাক করা অনেক সহজ হবে।
[আরও পড়ুন:পরিবেশ রক্ষায় নয়া উদ্যোগ, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে বিমানে]
[আরও পড়ুন:ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ পুলিশ! সঙ্গে ছিলেন রাজনৈতিক নেতা , যোগীরাজ্যে চাঞ্চল্য ]