ফের উত্তেজনা লাদাখে! চিনা বাহিনীকে রুখতে এবার মোতায়েন নৌসেনার মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান
লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা কমার কোনও নাম নেই। এই আবহেই এবার ভারতীয় নৌসেনা উত্তেরের বেসগুলিতে মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল। জানা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই সেগুলি মোতায়েন থাকবে। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ৪০টি মিগ ২৯ রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি মোতায়েন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্তে। বাকি ২২টি উত্তর ভারতের বেসগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে ভারতীয় সেনা
এদিকে চিন পিছু হটলেও সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে ভারতীয় সেনা৷ ভারত-চিন সীমান্তে রাত্রিকালীন টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, চিনুক হেলিকপ্টার ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে৷ প্রসঙ্গত, ১৫ জুন ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল রাতের অন্ধকারেই। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবেই চিনের উপর নজরদারি চালাতে ভারতীয় বায়ুসেনার এই পদক্ষেপ।

পূর্ব লাদাখের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এদিকে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে অস্থিরতার মাঝেই ২২ জুলাই থেকে দু'দিনব্যাপী কমান্ডার কনফারেন্সে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা। জুলাইয়ের শেষেই রাফাল যুদ্ধবিমানের র্যাপিড অপারেশনাল স্টেশন চালু করা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এই বৈঠকে বিমান বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতেও আলোচনা করতে চলেছেন, বলে জানিয়েছেন বাহিনীর এক কর্তা।

সেনা মোতায়েন সম্পর্কে আলোচনা
এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়ার নেতৃত্বে এবং ৭ জন কমান্ডার-ইন-চিফের উপস্থিতিতে এই কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্যই হল চিন সীমান্তের পরিস্থিতি এবং পূর্ব লাদাখের বাহিনীর সেনা মোতায়েন সম্পর্কে আলোচনা। যেখানে বাহিনী ইতিমধ্যেই মিরাজ-২০০০, সুখোই-৩০, এবং মিগ-২৯-এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান-সহ পুরো বহরকে সামনের বেসগুলিতে মোতায়েন করেছে। উন্নতমানের অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টারটি চিন সীমান্তের সামনের দিকে ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে এবং রাতে এমনকী পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে ঘন ঘন টহল দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে আসছে রাফাল
ফ্রান্স থেকে চলতি মাসের ২৯ তারিখ দেশে নিয়ে আসা রাফাল যুদ্ধবিমানগুলির দ্রুত পরিচালনা নিয়েও আলোচনা করবেন শীর্ষ কমান্ডাররা। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমানগুলিতে ইন্ডিয়া স্পেসিফিক এনহ্যান্সমেন্ট এবং এয়ার মিসাইলের মতো ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ব্যবস্থা ভারতকে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তুলেছে। বিমান বাহিনী রাশিয়ায় তৈরি বহরের সঙ্গে ফ্রান্স থেকে আনা যুদ্ধবিমানের ক্রিয়াকলাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ করার বিষয়েও কাজ করছে।

প্যাংগং লেকে নজরদারি
এদিকে প্যাংগং লেকে নজরদারি চালাতে ভেসেল ব্যবহার শুরু করে পিএলএ। এর জবাবে ভারত প্যাংগং লেকে মোতায়েন করে অত্যাধুনি স্পিড বোট। চিন টাইপ ৯২৮বি মডেলের ভেসেল জলে নামিয়েছে বলে খবর মিলেছে। চিনের এই চালকে মাত দিতে ভারতীয় সেনাও তৎপর। দখলদারি রুখতে ও চিনা সেনাকে ধাওয়া করতে ভারত মোতায়েন করেছে অত্যাধুনিক স্পিডবোট। যার সাহায্যে চিনা সেনাকে ভারত দূরে রাখতে পারবে।
