চিনকে প্রচ্ছন্ন বার্তা, বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়ায় যুদ্ধ কৌশল ঝালিয়ে নিল ভারত-রাশিয়া!
রাজনাথ সিংয়ের মস্কো সফর এখনও চলছে। গতরাতেই সেখানে তিনি চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লাদাখ ইস্যুতে আলোচনা সারেন। আর এই আবহেই এদিন আন্দামান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চালাল ভারত ও রাশিয়া। দুই দিনের এই মহড়ার আজ দ্বিতীয় দিন। বঙ্গোপসাগরের মালাক্কা প্রণালীর কাছে এই মহড়া চালো হয় বলে জানা গিয়েছে।
চিনকে কড়া বার্তা
তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালাক্কা প্রণালীর কাছেই এই মহড়া চিনকে কড়া বার্তা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। তার থেকে বড় কথা কাভকাজ ২০-তে ভারত অংশগ্রহণ করবে না জানানোর পরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল যে, দিল্লি-মস্কো বন্ধুত্বে চিড় ধরবে। তবে এই নৌ মহড়ায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল, যে ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ়ই হবে।
কাভকাজের বদলে নৌমহড়া
মে মাস থেকে উত্তর সিকিম ও পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বড় ধাক্কা খায় যখন ভারত জানায়, তারা কাভকাজে অংশগ্রহণ করবে না। কারণ চিন ও পাকিস্তানও অংশগ্রহণ করছে সেখানে।
কূটনৈতিক মারপ্যাঁচ
কাভকাজে ভারত ও চিনের অংশগ্রহণ রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক কৌশল ও গুরুত্বকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেখানে ভারতের এই সিদ্ধান্ত এশিয়ার দুই বড় শক্তির মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য রাশিয়ার উদ্যোগকে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছিল। এদিকে ভারত, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চিন বিরোধী একটি গোষ্ঠী বা চতুর্দেশীয় জোট তৈরি হচ্ছে। ভারত যদি কাভকাজ ২০-তে যোগদান করত, তাহলে সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খেত।
এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কাভকাজ ২০ নামের ওই সেনা মহড়া আগামী ১৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা। রাশিয়ার অস্ত্রখান অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী হামলা ও অন্যান্য যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে মহড়া হওয়ার কথা। সেখানে চিন ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক যোগে ভারতেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সব দিক রক্ষা করেই বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিতে আন্দামান সাগরে নৌ মহড়ায় নামে ভারতীয় নৌসেনা। চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা
এই মহড়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আন্দামান সাগরের এই অঞ্চলেই আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে নভেম্বর মাসে মালাবার নৌ মহড়া চলবে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর ফলে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে রাশিয়ার সঙ্গে মজবুত সম্পর্কের বার্তা দিচ্ছে দিল্লি।
ভারতে আইএস জঙ্গিদের মদত দেওয়ার নেপথ্যে তুরস্ক! যেভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে কট্টরপন্থা