সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থ নিয়ে নয়া তথ্য, পালে বাতাস পেয়ে গর্জে উঠলেন অর্থমন্ত্রী
এমাসের শুরুতে জানা গিয়েছিল ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমান ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার নতুন তথ্য বলছে গত ৪ বছরে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয় অর্থের পরিমাণ ৮০ শতাংশ কমেছে।
এমাসের শুরুতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছিল ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমান ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকেই সেই তথ্য মিলেছিল। সেসময় বেশ বিপাকেই পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে মোদী সরকারের আমলে গত ৪ বছরে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা অর্থ ৮০ শতাংশ কমেছে। এরপরই বিরোধীদের আক্রমণ করা শুরু করেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা।
|
জুনের শেষের খবর
জুন মাসের শেষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমান ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও আরবিআই-এর তথ্য অনুযায়ীই সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অস্থায়ী অর্থমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল অবধি বলেছিলেন, 'সুইস ব্যাঙ্কে রাখা সব টাকাই কালো নয়।'
|
অর্থমন্ত্রকের নয়া দাবি
মঙ্গলবার অস্থায়ী অর্থমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল জানিয়েছেন ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা অর্থের পরিমান বাড়ে তো নিই, বরং ৩৪ শতাংশ কমেছে। সব মিলিয়ে মোদী সরকারের আমলে, গত ৪ বছরে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা অর্থ ৮০ শতাংশ কমেছে।
|
সংবাদমাধ্যমের খবরটি কী ভুল ছিল?
সরকারের দাবি, সংবাদমাধ্যম তথ্যটি বুঝতে ভুল করেছিল। যে ৫০ শতাংশ ভারতীয় অর্থ বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছিল তার মধ্যে 'নন-ডিপোসিট লায়াবিলিটিজ', 'ভারতে অবস্থিত সুইস ব্যাঙ্কের শাখার ব্যবসা', 'ইন্টারব্য়াঙ্ক ট্রানজাকশন', ও 'ফাডুশারি লায়াবিলিটি' ধরা হয়েছে।
|
সুইস রাষ্ট্রদূতের চিঠি
সুইস রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস বাউম, কয়লা ও রেলমন্ত্রী তথা কার্যনির্বাহি অর্থমন্ত্রী পিযুশ গোয়েলকে এক চিঠিতে সবটা পরিষ্কার করেছেন। চিঠিতে তিনি একথাও বলেছেন, 'সুইজারল্যান্ডে ভারতীয়দের গচ্ছিত সমস্ত সম্পত্তিই কালো টাকা বলে ধরে নেওয়া হয়।' এটা সঠিক নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।
|
সরকার কি বিভ্রান্ত?
মঙ্গলবার অস্থায়ী অর্থমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল নতুন তথ্য প্রকাশ করেই একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। কিন্তু অনেকেই বলছেন তাহলে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হওয়ার সময়ে কেন তিনি, 'সুইস ব্যাঙ্কে রাখা সব টাকাই কালো টাকা নয়' -এই মন্তব্য করেছিলেন? তাহলে কী সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয় সম্প্দের পরিমাণ নিয়ে সরকারই বিভ্রান্ত?
তথ্য আদানপ্রদান চুক্তি
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দুই দেশ কালো টাকা বিষষে তথ্য আদানপ্রদানের একটি চুক্তি করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই দুই দেশই গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই বার্ষিক তথ্য আদানপ্রদান শুরু হবে। তাতে সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা রাখার প্রবণতা সম্পূর্ণ রোখা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।