সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর! এবার এমনই কড়া পদক্ষেপের ভাবনা সরকারের
ভুয়ো খবর রুখতে কড়া পদক্ষেপের ভাবনা সরকারের। ভারতে থাকা বিশ্বের ইন্টারনেট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধানরা ভুয়ো খবরের জেরে ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হতে পারেন।
ভুয়ো খবর রুখতে কড়া পদক্ষেপের ভাবনা সরকারের। ভারতে থাকা বিশ্বের ইন্টারনেট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধানরা ভুয়ো খবরের জেরে ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হতে পারেন। গণপ্রহার এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষের মতো ঘটনা রুখতে সরকারের পদস্থ কমিটি এমনই সুপারিশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বাধীন কমিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন রাজ্যে গণপ্রহারের মতো ঘটনা রুখতে রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনার পিছনে ভুয়ো খবর কতটা দায়ী এবং তা ইন্টারনেটে ছড়ানোর প্রক্রিয়া তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়াকে যাতে কোনওভাবেই গুজব ছড়ানো কিংবা সামাজিক অস্থিরতার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার না করা হয় সেইজন্য কমিটির সদস্যরা সবাই একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রের গঠিত মন্ত্রীগোষ্ঠী। সেই সিদ্ধান্তের কথা তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠাবে।
স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গণপ্রহারের মতো ঘটনা বন্ধ করতে, প্রত্যের জেলার পুলিশ সুপারকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনিই এবিষয়ে যে গোষ্ঠী এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন।
যে গোষ্ঠী কিংবা যাঁরা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে হোয়াটসঅ্যাপ দায় এড়ানোর পরেই এই ধরনের রিপোর্ট জমা পড়ল।
আইন ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও এই মন্ত্রীগোষ্ঠীর সদস্য।