টিকটকের বিকল্প কী? লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই আত্মনির্ভরতার পথে ভারত
লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত বেড়েই চলেছে। ক্রমেই লাদাখে সেনা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে দুই দেশ। এহেন যুদ্ধের আবহের আঁচ গিয়ে পড়েছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। এর জেরে ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যার নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানার, হেলো অ্যাপ সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ এই তালিকায় রয়েছে।
২০১৯-এ টিকটকে ৫৫০ কোটি ঘণ্টা কাটিয়েছে ভারতীয়রা
মে মাসে এই সব নিষিদ্ধ অ্যাপের সম্মিলিত ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ কোটি। শুধু টিকটক ব্যবহার করে এমন ১০ কোটি ভারতীয় রয়েছেন। ২০১৯ সালে ভারতীয়রা টিকটকে ৫৫০ কোটি ঘণ্টা কাটিয়েছে। শুধু ডিসেম্বর থেকেই টিকটকের ব্যবহারকারী ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় ভাষায় নিজেদের কার্যক্রম চিনা অ্যাপগুলির
টিকটক সহ এই বেশ কয়েকটি অ্যাপ স্থানীয় ভাষায় নিজেদের কার্যক্রম করায় ভারতীয়দের মধ্যে এদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। টিকটক ছাড়াও হেলো, বিগো, লাইকি এদের মধ্যে অন্যতম। এখন এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের একটি অন্য মাধ্যম খুঁজতে হবে। যা ভারতীয় অ্যপ ডেভেলপরদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। আদতে চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর সব থেকে বাজার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এক বিশাল ফাঁকা স্থান তৈরি হল, যা ভরাট করে তার সুযোগ তুলতে পারে ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি।
চিনা অ্যাপের বিকল্প
এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই ইতিমধ্যে অনেকে নিজ নিজ ফোন থেকে ডিলিট করেন চিনা অ্যাপ। শুরু করেন ভারতীয় অ্যাপ ব্যবহার। যার ফলে দেখা গিয়েছে, টিকটক ব্যবহারের পরিবর্তে ভারতীয়রা শুরু করেছেন 'চিঙ্গারি' নামক অ্যাপের ব্যবহার, যার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালিও। এখন পর্যন্ত ২৫ লক্ষ বার ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপ।
চিনা অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ
চিনা অ্যাপগুলির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক নাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তাদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'দ্য কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমও নাগরিকদের থেকে তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে৷' এই পরিস্থতিতে চিঙ্গারির মতো আরও অ্যাপ ভারতীয় বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতে ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ হতেই মাথায় হাত চিনের! বেজিংয়ের তরফে দিল্লিকে দেওয়া হল কোন বার্তা?