লাদাখের শান্তি ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ নয়াদিল্লির, চিনের কাছে জবাবদিহি চাইল ভারত
ভারত ও চিনের মধ্যে অতি শীঘ্রই নবম দফার বৈঠক হতে চলেছে লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে। তার আগেই এবার বেজিংয়ের কাছে ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া ভাষায় জবাব চাইল ভারত। এর আগে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে পূর্ব লাদাখে চুশুল সেক্টরে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যে আলোচনা হয়, তখন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য় আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ব্য়াপারে সহমত পোষণ করেছিল দুই পক্ষ৷
সীমান্ত সংঘাত বন্ধ করতে হবে
এর আগে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, লাইন অফ অ্য়াকচুয়াল কন্ট্রোলের পশ্চিম সীমান্ত সংঘাত বন্ধ করতে, দুই তরফে গভীর এবং গঠনমূলক মত বিনিময় হয়েছে। আলোচনায় স্থির হয়েছিল, দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আলোচনায় যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা প্রয়োগ করতে দুই দেশের সেনা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকেও বিরত থাকবে৷
আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয় ভারত ও চিন
পাশাপাশি আবারও আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয় ভারত ও চিনের সেনা৷ সেই মতোই নবম দফায় সেনা পর্যায়ের বৈঠকের জন্যে তৈরি হচ্ছে দুই দেশ। এর আগে অষ্টম দফার আলোচনা যেহেতু অচলাবস্থার মধ্যেই শেষ হয়েছে, তাই কোনো দেশই তাদের সেনাবাহিনীকে বর্তমান স্থান থেকে সরাবে না বলে জানানো হয়েছিল৷
ভারতীয় দলের নেতৃত্বে বদলে
সেনার অষ্টম কর্পস কমান্ডার লেভেলের এই আলোচনা হয়৷ সেই বৈঠকে প্রথমবার ভারতীয় সেনার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল পিজিকে মেনন৷ এর আগে তিনি দুটি আলোচনায় অংশ নিলেও তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং৷ তাঁকে গত মাসে ভারতীয় সেনা অ্য়াকাডেমিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে৷ তাঁকে সেই ক্যাম্পের ইনচার্জ করা হয়েছে৷
সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি
বিদেশমন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি নবীন শ্রীবাস্তবও ভারত ও চিনের মধ্য়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন৷ লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনার এই অবস্থানের মাঝে মোট ৮ বার আলোচনা হয়েছিল৷ শুক্রবারের আগে শেষ আলোচনা হয়েছিল অক্টোবরের ১২ তারিখ৷ সেই বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি৷
লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে! এবার অনুব্রতর গড়ে ভাঙনের রেখা, 'হানা' শুভেন্দু অনুগামীদের