লাদাখে হারের বদলা, চিনের উপকূলে সঙ্কটে ৩৯ ভারতীয়! কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল্লির
চিনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। কয়েক মাস পরও চিনের উপকূলে আটকে ৩৯ জন ভারতীয় নাবিক। এবার সেই সব নাবিকদের জন্যে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য পাঠানোর দাবি জানাল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ওই নাবিকদের খাদ্য, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জরুরি রসদও প্রায় শেষের দিকে। চরম বিপদের মুখে পড়েছেন ভারতীয় নাবিকরা। জাহাজ দুটিকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বেজিংয়ের সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে নয়াদিল্লির।
চিনা উপকূলে আটকে ৩৯ ভারতীয়
জানা গিয়েছে, চিনের জিংটাং বন্দরে ১৩ জুন নোঙর ফেলেছিল একটি জাহাজ তাতে রয়েছেন ২৩ জন ভারতীয়। অন্যদিকে, মালবাহী দ্বিতীয় জাহাজটি চিনের কাওফেইডিয়ান বন্দরের কাছে নোঙ্গর করে আছে। যে জাহাজে আছেন ১৬ জন ভারতীয়। এই জাহাজটি গত ২০ সে সেপ্টেম্বর থেকে নোঙ্গর করা অবস্থায় পড়ে আছে।
করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধের দোহাই
চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ লাগু থাকার কারণেই জাহাজ দুটির পণ্য খালাস আটকে গিয়েছে। তবে, ভারতীয় মুখপাত্ররা চিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সব সময়। তবে জানানো হয়েছে যে, জাহাজে থাকা ভারতীয়রা সকলেই সুস্থ আছেন। ভারতের পক্ষ থেকে চিনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, জাহাজে থাকা ভারতীয়দের যেন কোন রকম কষ্ট যেন না হয়, তাদের যেন সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়।
অশান্তির পরিবেশে এখনও জারি
এদিকে পূর্ব লাদাখে গত প্রায় ৭ মাস ধরে যে অশান্তির পরিবেশ রয়েছে, তার যেন কোনও অন্ত নেই, কোনও বিরাম নেই। স্থিতাবস্থা বজায় রেখে ভবিষ্যতে ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়াটাই আসলে ড্রাগনের আগামী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। আর ঠিক এই কারণেই ভারতের উপর প্রবল চাপ দিয়ে চলেছে চিন। ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে ডজন খানেক বৈঠক করেছে দুই দেশ।
আলোচনা থেকে কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি
বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা স্তরেও হয়েছে বহু বৈঠক, বহু আলোচনা। কিন্তু কোনও বৈঠক, কোনও আলোচনা থেকেই কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য, লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের জেরেই জাহাজ দুটি আটকে রেখেছে চিন। যদিও চিনের তরফে এই ব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু বলা হয়নি।