'আগামী ৪০ টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ', ফের করোনার ওয়েভ আছড়ে পড়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
চিন সহ একাধিক দেশে করোনার (Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। যদিও একাধিক দেশে সংক্রমণ বাড়তেই ভারত সম্পূর্ণ ভাবে সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
চিন সহ একাধিক দেশে করোনার (Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। যদিও একাধিক দেশে সংক্রমণ বাড়তেই ভারত সম্পূর্ণ ভাবে সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বিশেষ করে বাইরে থেকে যে সমস্ত যাত্রী ভারতে আসছে সবার আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী গত তিন দিনের ৩৯ জন বিদেশীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর।
৪০ টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ
এই অবস্থায় আগামী ৪০ টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারি মাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত পুরানো অভিজ্ঞতা কিংবা ট্রেন্ড অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের মাঝমাঝি সময় থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ (COVID-19) ফের একবার বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ফলে আগামী ৪০ টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাহলে কি ভারতের আরও একটি ওয়েভ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে?
আছড়ে পড়তে পারে একটা ওয়েভ
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অতীতে দেখা গিয়েছে করোনার নতুন ওয়েভ পূর্ব এশিয়াতে আছড়ে পড়ার 30 থেকে 35 দিন পরে ভারতে আঘাত করেছিল। এটি ভাইরাসের নেচার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ভারতে নতুন করে একটা করোনার ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্র বলছে, সংক্রমণের গভীরতা এখন অনেক কম। ফলে কোভিডের ঢেউ এলেও সংক্রমিত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার এবং হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যগুলিকে অ্যালার্ট করা হয়েছে
বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা বাড়তেই সরকার ইতিমধ্যে অ্যালার্ট জারি করেছে। সমস্ত রাজ্যকেও সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিকে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরির কথাও বলা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এরপরেই ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন মজুত রাখা হয়েছে। সব রাজ্যকে অক্সিজেন সরবরাহ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন তৈরির অতিিরক্ত প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে।
সেই মতো পশিমবঙ্গকেও সতর্ক করা হয়েছে। আর এরপরেই বাংলাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড রোগী ভর্তির জন্য। জেলার হাসপাতাল গুলিতে পরিকাঠামো তৈরীর ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।