কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : 'বিশ্ব বাজারে মন্দার জেরেই ভারতীয় অর্থনীতির গতি থমকেছে'
'বিশ্ব বাজারে মন্দার জেরেই ভারতীয় অর্থনীতির গতি থমকেছে'
ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হারে হ্রাস মূলত বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার জেরে। শুক্রবার এমনটাই বললেন দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই রিপোর্টটি তৈরি করে কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক বিষয়ক এক বিশেষ প্যানেল।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট কী?
একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এই সমীক্ষার প্রস্তাবিত নীতিমালা একটি কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করে যা ভারতে সম্পদ সৃষ্টিকে উৎসাহিত করতে পারে। যার ফলস্বরূপ, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উর্ধ্বগতিতে এগিয়ে যাবে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের প্রবৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের প্রবৃদ্ধির হারের পূর্বাভাসে বলা হয় যে দেশের জিডিপি হতে পারে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধ্যে। আগামী অর্থবর্ষের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া ছাড়া অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে চলতি অর্থবর্ষে দেশের প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশই থাকবে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রস্তাব
নতুন ব্যবসা শুরু করা, সম্পত্তি নিবন্ধন করা, কর প্রদান, চুক্তি কার্যকর করা সহজ করার জন্য পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টটি। পাশাপাশি রিপোর্টে বলা হয়, আর্থির প্রবৃদ্ধির হারের ধীর গতিকে সামলাতে রাজস্ব ঘাটতির ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল করা উচিত।
পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে জোর
পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার বিষয়েও বলা হয় রিপোর্টে। সুব্রহ্মণ্যম কৃষ্ণমূর্তির প্যানেলের তৈরি রিপোর্টে বলা হয়, ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে পরিকাঠামো খাতকে সুসংগঠিত ও দৃড় করে তোলা আবশ্যিক। সেই মতো ২০২০-২৫, পাঁচটি অর্থবর্ষের জন্যে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১০২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তীব্র মন্দা
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তীব্র মন্দা সরকার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে অবাক করে দেয়। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারতীয় অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উদ্ধার করা। পরিসংখ্যান মন্ত্রক পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীর গতি। অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ৭.৩৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার।