দশ দিন যুদ্ধ করার গোলাগুলিও নেই! জেনে নিন কত টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে দেশীয় কারখানায়
ভারতের দেশীয় অস্ত্র কারখানায় গোলাগুলি তৈরির লক্ষ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও সেনা।
সেনার হাতে যথেষ্ট অস্ত্র গোলাগুলি মজুত নেই। তাই দেশে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সাত ধরণের গোলাগুলি তৈরির জন্য বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও সেনা বাহিনী। এই খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
ব্হিনার হাতে মজুত গোলাগুলির পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ মুহূর্তে তাদের হাতে যা আছে তা, টানা দশদিনের যুদ্ধেই ফুরিয়ে যাবে। গোলাগুলির জন্য বিদেশী নির্ভরশীলতা কাটাতে দেশের বেসরকারি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে চাইছে সরকার। আপাতত অরড্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের হাতে ৪১ টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী কারখানা রয়েছে। গোলাগুলির অভাব পুরণে এই কারখানাগুলি, বিদেশী কোম্পানিগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে পারে বলে খবর। সংশ্লিষ্ট এক পদস্থ কর্তা জানান, 'গোলাগুলি নির্মাণের এই দেশীয় উদ্যোগ ১০ বছরের মধ্যে ক্রমশ আমাদের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আনবে।'
তবে ২০১৬-য় জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে পাক হামলা নাহলে বোধহয় নিরাপত্তার এই বেহাল দশা চোখেই পড়তো না। ওই হামলার পরেই জানা যায়, দেশের সেনা সদস্যের সংখ্য়া ১৩ লক্ষেরও বেশি হলেও, যুদ্ধ করার মতো যথেষ্ট অস্ত্রশস্ত্র গোলাগুলি নেই দেশে। তারপরই এই বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। জানা যায় শুধু স্থলবাহিনী নয়, একই হাল বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীরও। অথচ দেশে সবসময় অন্তত ৪০ দিন 'তীব্র যুদ্ধ' যুদ্ধ চালানোর মতো ওয়ার ওয়েস্টেজ রিজার্ভ (ডব্ল্যুডব্ল্যুআর) বা গোলাগুলি মজুত থাকার কথা।
এর আগে ক্ষমতায় এসেই মোদী 'মেক ইন ইন্ডিয়ার' ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো দেশীয় কারখানায় অ্যাসল্ট রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেনা বাহিনী সেগুলির পরীক্ষা করে তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত বলে ফেরত দিয়ে দিয়েছিল। এবার গোলাগুলি তৈরিতে ভারতীয় কারখানাগুলি দক্ষতা কত, সেটাই দেখার।