'ইজরায়েল পারলে আমরাও পারি!', কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদের মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল
জম্মু-কাশ্মীরে ইজরাইলি ধাঁচে বসতি নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিবিদ সন্দীপ চক্রবর্তী।
জম্মু-কাশ্মীরে ইজরাইলি ধাঁচে বসতি নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিবিদ সন্দীপ চক্রবর্তী। এসব বসতিতে কাশ্মির থেকে এককালে বিতারিত হিন্দু পণ্ডিতদের পুনর্বাসন করার কথাও বলেন তিনি। সপ্রতী এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সন্দীপকে এই বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।
ভারতীয়দের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন সন্দীপ
নিউইয়র্কে শনিবার কাশ্মীরি পণ্ডিত ও প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সন্দীপ বলেন, "আমি বিশ্বাস করি কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি শীঘ্র উন্নতি হবে। আপনারা আপনাদের জীবদ্দশাতেই আপনাদের জমি ফিরে পাবেন এবং আপনারা সেখানে ফিরে যাবেন। আমাদের কাশ্মীরি ভাইরা শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে এরকম উদাহরণ রয়েছে। ইজরায়েলের মানুষ যদি এটি করতে পারেন তবে আমরা কেন নয়?"
পাকিস্তানকে খোঁচা সন্দীপের
পাকিস্তানের নাম না করে ওই কূটনীতিক বলেন যে, "কিছু মানুষ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের উপর বিরক্ত হয়েছেন। মানবাধিকার কাউন্সিলে, মার্কিন কংগ্রেসে এ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। আমার মত হল তাঁরা সিরিয়া বা ইরাক বা আফগানিস্তানে গিয়ে ফটো তোলেন না কেন? কেন এখানের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?"
'কাশ্মীরি সংস্কৃতি হল হিন্দু সংস্কৃতি'
তিনি আরও বলেন, "আপনারা নিশ্চই ইহুদি ইস্যু সম্পর্কে শুনেছেন। তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতিকে তাঁদের দেশের বাইরেও ২ হাজার বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আমি মনে করি আমাদেরও কাশ্মীরি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কাশ্মীরি সংস্কৃতি হল ভারতীয়, এটি হিন্দু সংস্কৃতি। আমরা কেউ কাশ্মীর ছাড়া ভারতের কল্পনাও করতে পারি না।"
সন্দীপের বক্তব্যের নিন্দায় ইমরান
এদিকে এই ভিডিও সামনে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করেন। কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদের এ আহ্বানের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নয়াদিল্লির এ অবস্থানকে ফ্যাসিবাদী বলে অভিহিত করে বলেন, প্রায় ১০০ দিন অবরুদ্ধ কাশ্মীরে ভারত সরকার আরএসএসের ফ্যাসিবাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আজও জম্মুর শরণার্থী শিবিরে বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত
চলতি বছরের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয় ৩৭০ ধারা। বলা হয়, এই বিশেষ মর্যাদার কারণে কাশ্মীরের লাগাতার জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে। ৩৭০ ধারার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও সহজে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারত না। এমনকি ভারতের অন্য অঞ্চলের কোনও নাগরিকের ওই এলাকায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ ছিল না। এর আগে ৯০-এর দশকে বহু কাশ্মীরি পণ্ডিতকে বিতারিত করেছিল স্থানীয়রা। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু পণ্ডিত। এরপর থেকেই সেখানকার পণ্ডিতরা জম্মুতে শরণার্থী শিবিরে থাকতেন। তাদের কেউই আর ফিরে যেতে পারেননি নিজেদের এলাকাতে।
'সন্ত্রাসবাাদী প্রজ্ঞা, সন্ত্রাসবাদী গডসেকে দেশভক্ত বলছেন'! ধারালো কটাক্ষ রাহুলের