ভারতীয় কূটনীতিকের কাপড় খুলে তল্লাশি আমেরিকায়
ভিসা জালিয়াতির মামলায় কিছুদিন আগে এই আইএফএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভিসা জাল করে ভারত থেকে এক পরিচারিকাকে নিয়ে এসেছেন। ওই পরিচারিকাকে দিয়ে কম বেতনে তিনি কাজ করাতেন বলে অভিযোগ। এর জেরে গত সপ্তাহে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। দু'ঘণ্টা পর তিনি জামিনে ছাড়া পান।
ভিসা জালিয়াতিতে অভিযুক্ত দেবযানী খোবরাগাডে
দু'ঘণ্টার বন্দীদশায় কী দুর্ভোগ তাঁকে পোহাতে হয়েছে, তা এখন সামনে এসেছে। এর বিরুদ্ধে 'কড়া' প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলকে ডেকে পাঠিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন। এদিন শিবশঙ্কর মেনন সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণ বর্বরোচিত। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীরও। কিন্তু, তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে অপমান করে গর্হিত কাজ করেছে ওয়াশিংটন। তাই তিনি দেখা করছেন না। একই কারণে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে এদিন দেখা করতে চাননি রাহুল গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে।
আমেরিকার পাল্টা যুক্তি, দেবযানী খোবরাগাডে কূটনীতিক রক্ষাকবচের আওতায় আসেন না। কিন্তু, ভারতের দাবি, ভিয়েনা কনভেনশন অন কনসুলার রিলেশনস অনুযায়ী 'খুব গভীর অপরাধ' ছাড়া একজন ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেফতার করা যায় না। যদি অপরাধ এত গভীর হবে, তবে গ্রেফতারের দু'ঘণ্টা পরই কেন তাঁকে জামিনে ছাড়া হল?
প্রসঙ্গত, দেবযানী খোবরাগাডের হেনস্থায় ক্ষুব্ধ তরুণ আইএফএস অফিসাররা। তাঁদের দাবি, সরকার আরও কড়া মনোভাব নিক আমেরিকার বিরুদ্ধে।