ট্রাম্পের এইচ ১বি ভিসার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় কোম্পানিগুলি
ট্রাম্পের এইচওয়ান বি ভিসা নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত। আমেরিকার ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকা পলিসির রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের এইচওয়ান বি ভিসা নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত। আমেরিকার ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকা পলিসির রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন বুদ্ধিজীবীরা জানিয়েছেন ২০১৫ সালে যেখানে এই ভিসা নীতির কারণে ভিসা বাতিলের পরিমান ৬ শতাংশ ছিল। সেটা ২০১৯ সালে বেড়ে ২৪ শতাংশ হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি।
ক্ষতি হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির
ভারতীয় কোম্পানিগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখ দেখেছে ট্রাম্পের ভিসা নীতির কারণে। মার্কিন বুদ্ধিজীবীদের রিপোর্টেই এই তথ্য প্রকাশ্য এসেছে। আমাজন, মাইক্রোসফট, ইন্টেলের মতো তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্মীদের ভিসা বাতিলের পরিমান ২০১৫ সালে ১ শতাংশ ছিল। সেটা ট্রাম্পের ভিসা নীতির কারণে বেড়ে হয়ে গিয়েছে যথাক্রমে ৬, ৮ ও ৭ শতাংশ। অন্যদিকে অ্যাপেলের ক্ষেত্রে সেটা ২ শতাংশই রয়ে গিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় সংস্থা
একাধিক মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীদের ভিসা বাতিলের সংখ্যা যেখানে সামান্য হলেও বেড়েছে সেখানে ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ভিসা বাতিলের পরিমান কয়েকগুণ বেড়েছে। টেক মাহিন্দ্রার িভসা বািতল হয়েছে ৪১ শতাংশ। টাটা কনসাল্টেন্সির ভিসা বাতিল হয়েছে ৩৪ শতাংশ। আগে তার পরিমান িছল মাত্র ৬ শতাংশ। উইপ্রোর ভিসা বাতিল হয়েছে ৫৩ শতাংশ। আগে ছিল ৭ শতাংশ। ইনফোসিসের ভিসা বাতিল হয়েেছ ৪৫ শতাংশ। আগে ছিল ২ শতাংশ।
মার্কিন সংস্থাগুলিকে কর্মী সরবরাহ কমছে
আগে যে পরিমান কর্মী ভারতের বিভিন্ন সংস্থা মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা গুলিকে সরবরাহ করে থাকে। সেটা ট্রাম্পের ভিসা নীতির কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতীয় দক্ষ কর্মীদের কারণেই এই সংস্থাগুলির লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ট্রাম্পের এই নীতি নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে জেগে উঠেছে ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলন। দুর্নীতির অভিযোগে ট্রাম্পে ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ শুরু হয়েছে আমেরিকায়।